ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাইভেসি সংশ্লিষ্ট নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে মেটার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মেসেজিং সার্ভিস হোয়াটসঅ্যাপকে প্রায় ৬০ লাখ ডলার মানে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে আয়ারল্যান্ডর নিয়ন্ত্রক সংস্থা,ডেটা প্রাইভেসি কমিশন।
এই নিষেধাজ্ঞার সময় ,ডিপিসি,হোয়াটসঅ্যাপকে বলেছে, তারা কোন উপায়ে গ্রাহকের ব্যক্তিগত ডেটা ব্যবহার করে, ওই বিষয়টি পুনরায় মূল্যায়ন করে দেখতে। এই মাসে একই নির্দেশ জারি হয়েছে মেটার অন্যান্য প্রধান প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের ওপরও। সে সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বলেছে,মেটাকে অবশ্যই পুনরায় মূল্যায়ন করতে হবে, গ্রাহকদের বিজ্ঞাপন দেখানোর উদ্দেশ্যে তারা কী ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে থাকে।হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের বিষয়টি বিবেচনা করছেন। আর তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, প্রযুক্তিগত ও আইনি অভিযোগের বিষয়গুলো মাথায় রেখেই তাদের সার্ভিস পরিচালিত হয়। আইরিশ এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেশ কিছু সংখ্যক শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানির ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে। কারণ,এদের সদর দপ্তর আয়ারল্যান্ডে অবস্থিত। আর সংস্থাটি হোয়াটসঅ্যাপকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন ছ’ মাসের মধ্যে ইউরোপীয় আইনের ভিত্তিতে কার্যক্রম শুরু করে।২০১৮ সালের মে মাসে,এই একই ডেটা লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে হোয়াটসঅ্যাপকে ২৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা করেছে ডিপিসি। আইরিশ আদালতে জরিমানার বিরুদ্ধে আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ।উল্লেখ্য,এখন পর্যন্ত মেটার বিভিন্ন সার্ভিসে চালানো ১০টি তদন্তের ভিত্তিতে মোট প্রায় একশ ৪১ কোটি ডলার জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।