ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির বিমান দুর্ঘটনার নেপথ্যে ইজরায়েলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যে। ইজরায়েল বিরোধী হিসাবেই আজীবন পরিচিত ছিলেন ইব্রাহিম রাইসি।
গত বছর অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস-ইজরায়েল সংঘাতের পর থেকে আরও বেড়েছিল সেই বিরোধিতা। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সংঘাত। ১ এপ্রিল দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে হামলায় নিহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন আধিকারিক। সেই হামলার নেপথ্যে ইজরায়েল সেনার হাত রয়েছে বলে অনুমান ছিল অনেকের। তার পাল্টা দিতেই ১৩ এপ্রিল ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। বেশ কয়েকবার এভাবেই আঘাত-প্রত্যাঘাত চালিয়ে যায় দুই দেশ। সংঘাত কিছুটা কমতেই কপ্টার ভেঙে পড়ে ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর ঘটনায় জল্পনা শুরু হয়েছে। সেই জন্যই কপ্টার দুর্ঘটনার নেপথ্যে ইজরায়েলের ভূমিকা রয়েছে কিনা, উঠছে এই প্রশ্ন।তবে ইরানের রাষ্ট্রপ্রধানকে টার্গেট করবে ইজরায়েলের মোসাদ, সেই সম্ভাবনা খুবই কম বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ কোনও দেশের প্রধানকে হত্যা করা সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার সমকক্ষ। সেক্ষেত্রে ইরানের পাল্টা হামলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলেও প্রবল চাপের মধ্যে পড়তে হবে তেল আভিভকে। তবে ইব্রাহিম রইসির মৃত্যু শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয় বরং প্রভাব ফেলবে মধ্য এশিয়া ও ইউরোপীয় ভূরাজনীতিতেও। বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রুশ বাহিনীকে যে বিপুল পরিমাণ ড্রোন ও সমরাস্ত্র সরবরাহ করেছিল তেহরান এখন সেই পদক্ষেপ কতটা ধারাবাহিক থাকবে সে প্রশ্ন উঠেতে শুরু করেছে।