করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণহানির জন্য শোকপ্রকাশ করেও, দুঘটনার জন্য রেলের সিগনালিং ব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধীরা। তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলে টুইট বার্তায় লিখেছেন আক্রান্তদের এবং তাদের পরিবারের জন্য আমার আন্তরিক প্রার্থনা।
যে একটি কথিত সংকেত ব্যর্থতার ফলে ৩টি ট্রেন বিধ্বস্ত হয়েছে তা বিশ্বাসের বাইরে মর্মান্তিক। এমন গুরুতর প্রশ্ন রয়েছে যার উত্তর দেওয়া দরকার। এদিকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের প্রতি কংগ্রেস সমবেদনা জানায়, পাশাপাশি দ্রুত যাতে উদ্ধ্রাকাজ সম্পন্ন হয় এবং যাতে করে আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করা যায়, সেই কারণে কংগ্রেস ও কর্ণাটক সরকার সর্বতভাবে সাহায্য করবে। অপরদিকে আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ বলেছেন ট্রেনে নিহতদের প্রতি তাঁর গভীর সমবেদনা রয়েছে পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েদেন তিনি। এদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন দুর্ঘটনার পর থেকে গোটা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে খোদ রেলমন্ত্রী ঘটনাস্থলে রয়েছেন, একইসঙ্গে কেন্দ্রের সমস্ত টিম, সমস্ত উদ্ধারকারী দল, থেকে শুরু করে সবকিছু বালাশোরে কাজ করছে, প্রথমত পরিস্থিতি সামাল দিয়ে স্বাভাবিক হওয়ার পর আগামীদিনে এই নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেখা হবে। এদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট বার্তায় বলেছেন, ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে গোটা দেশ, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সকল নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং উদ্ধারকাজে এই মুহূর্তে সরকারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি সমস্ত কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্য়া। এই ঘটনায় এবার যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। বলেছেন বারবার বুলেট ট্রেন বুলেট ট্রেন প্রসঙ্গ। রোজ দেশের ২৫ লাখ সওয়ারি রেল সফর করে। তো বুলেট ট্রেন চালাতে সব অর্থ ওখানেই বরাদ্দ করা হচ্ছে। তাই এই খাতে যদি ঠিক মতো করে নজর না দেওয়া হয়, তাহলে সবচেয়ে বড় ভুল এখানেই। যার ফল ভুগতে হচ্ছে