বাবা যে দলের কোচ, ছেলে সেই দলের ফুটবলার। এসব ক্ষেত্রে একটু বাঁকা চোখে তাকানো বা প্রশ্ন তোলার লোকের অভাব থাকে না।
তবে সেসব কিছুর অবকাশ রাখেননি জুলিয়ানো সিমেওনে। পারফরম্যান্সই কথা বলছে তার হয়ে। তার বাবাকেও তাই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়নি। এই সিজনে আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে জুলিয়ানোর যা পারফরম্যান্স, এতটা ভালো কিছু প্রত্যাশা করেননি বাবা দিয়েগো সিমেওনে নিজেও। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পথচলায় জুলিয়ানো চোখধাঁধানো এক গোল করেছেন।লা লিগায় রেয়াল ভাইয়াদলিদের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও ৪-২ গোলের জয় পায় আতলেতিকো।ঘরের মাঠে আতলেতিকো পিছিয়ে পড়ে ২১ মিনিটে পেনাল্টি গোলে। ২৫ মিনিটে হুলিয়ান আলভারেসের পেনাল্টি সমতায় ফেরায় দলকে। মিনিট দুয়েক পরই জুলিয়ানোর গোলে তারা এগিয়ে যায়। বাঁ প্রান্তে উড়ে আসা বল বক্সের পাশে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ভেতরে ঢুকে আরেকজনের পাশ দিয়ে বুলেট গতির শটে কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান তিনি। সামনে থেকেও কিছু করতে পারেননি গোলকিপার।দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ভাইয়াদলিদ আবার গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরায়। তবে ৭১ মিনিটে আলভারেসের আরেকটি পেনাল্টি এগিয়ে দেয় আতলেতিকোকে। ৭৯ মিনিটে আলেকসান্দার সরলথের গোলে নিশ্চিত হয় জয়।আগের ম্যাচে সেভিয়ার বিপক্ষে শেষ সময়ের গোলে দারুণ জয়ের পর এবারও পেছনে থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিততে পেরে উচ্ছ্বসিত কোচ দিয়েগো সিমেওনে। সেখানে এসেছে ছেলের গোলের প্রসঙ্গও।শুধু এই ম্যাচেই নয়, চলতি সিজনে জুলিয়ানোর পারফরম্যান্সকে বলা যায় এক ধরনের বিপ্লব। ২০১৯ সালে ক্লাবের যুব দলে যোগ দেন তিনি। বি দল হয়ে মূল দলে অভিষেক ২০২২ সালে। পরে লিয়েনে খেলেছেন দুটি ক্লাবে। দিয়েগো সিমেওনের ছেলে হিসেবেই তখনও ছিল তার মূল পরিচয়। কিন্তু চলতি সিজনে তিনি আপন আলোয় উদ্ভাসিত।
সিজন জুড়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করে চলেছেন। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলেও জায়গা করে নিয়েছেন ২২ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড জুলিয়ানো সিমেওনে।