শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিককাণ্ডে ওএমআর শিট মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তে আদালত একেবারেই খুশি নয়, জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতিতে গঠিত সিটের প্রধান অশ্বিন সেনভিকে আগামী সপ্তাহে বুধবার হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সিবিআই আধিকারিকদের নির্বোধের মত আচরণে তিনি বিস্মিত, মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।সিবিআইয়ের এইসব আধিকারিকরা নির্লজ্জ, মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। এতবার আদালত থেকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে সিবিআইকে, তাও হুঁশ ফিরছে না? প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর এই মামলার ফের পরবর্তী শুনানি। একসময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের জমিদারি ছিল, তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পরেও এখন মানিক ভট্টাচার্যের কিছু অনুগামী গন্ডগোল করে যাচ্ছে, তারা সিবিআই-ইডির নজরদারিতে আছে, মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সিবিআই অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে, এবার তদন্তকারী সংস্থার পদক্ষেপ বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখা হবে, হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থাকা দফতরের আধিকারিকরা কি করছেন সেটা তাঁকে জানানো দরকার। সিবিআইয়ের আধিকারিকরা এত অবোধ বা নির্বোধ নন, মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। নিশ্চিতভাবেই সিবিআইয়ের আধিকারিকরা দুষ্কৃতীদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে, মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সিবিআইয়ের একগুচ্ছ বোকা লোক কাজ করে এটা বিশ্বাস করতে তিনি প্রস্তুত নন, এটা ইচ্ছাকৃত, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলে এই দুর্নীতিকে রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা হবে, এবং তদন্ত ব্যাহত হবে, দয়া করে এই পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকুন, সওয়াল আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের। এরপরই পাল্টা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন ঠিক আছে, তাহলে তিনি সিবিআইয়ের অধিকর্তাকে জানাচ্ছেন যে তার অধীনস্ত আধিকারিকরা কি করছেন। সিবিআইকে এই তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এই মামলার কিছু হবে না, মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। উলুবেড়িয়া থানার জিজ্ঞাসাবাদ এর থেকে ভালো হবে, মন্তব্য বিচারপতির। আগে সিবিআই শুনলে লোকে ভয় পেত, এখন হাসে, মন্তব্য বিচারপতির।