দুটো ভোটের জন্য বেলেঘাটায় ঝরল রক্ত। মঙ্গলবার বেলার দিকে কলকাতা পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৮৫ ঊর্ধ্ব দুই ব্যক্তির ভোট নিতে তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা।
সেই ভোট গ্রহণকে ঘিরেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বেলেঘাটা। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের কোনও পোলিং এজেন্টকে ঘরে ঢুকতে দেয়নি তৃণমূলের লোকজন। এই নিয়ে শুরু হয় বচসা। হাতাহাতিতে একজনের মুখ ফেটে যায় বলে অভিযোগ।অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। তখন তাঁকে ঘিরে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাঁকে বহিরাগত বলে চিৎকার শুরু করেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। দেওয়া হয় গো ব্যাক স্লোগান। মারমুখী হয়ে ওঠে দু-দলের কর্মী সমর্থকরা। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আসে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর দীর্ঘক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে পুলিশ। এলাকা এখনও থমথমে রয়েছে গোটা এলাকা। এদিকে মহেশতলায় বাড়িতে বসেই পোস্টাল ব্যালটের সাহায্যে ভোট দিয়েছেন বছর ৯০-র অশীতিপর বৃদ্ধা। যদিও চোখে ঠিকমত না দেখতে পাওয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ভোটকর্মীদের উপস্থিতিতে ভোট দিয়েছেন তাঁর ছেলে। বাড়িতে বসে ভোট দিতে পেরে অত্যন্ত খুশি ওই পরিবারের লোকজন। এদিকে বয়ঃসের ভারে ভোটকেন্দ্রে না যেতে পারলেও বাড়িতে বসেযা পোস্টাল ব্যালটের সাহায্যে ভোট দিয়েছেন কলকাতার যোধপুর গার্ডেন্সের বাসিন্দা বিভারানী সরকার।