রাজ্যের ১১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্যদের রাজ্যপালের নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৃহস্পতিবারই কার্যত রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখে যাদবপুর, কল্যাণী, বর্ধমান, কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
এই মুহূর্তে রাজ্যে প্রায ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নেই। এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাজভবনে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারও আগে ইউজিসি-র চাপে আইনগত জটিলতা এড়াতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিজে উপাচার্যদের নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তারপর সমঝোতা সূত্র হিসেবে বিদায়ী উপাচার্যদের তিন মাসের জন্য অন্তর্বর্তী নিয়োগ দেন রাজ্যপাল। এরপরেই নতুন উপাচার্যদের নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার ৫ জনের একটি কমিটি গঠন করে। যে কমিটিতে রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব বেশি থাকার অভিযোগ উঠেছিল। এরপরেই রাজভবনের তরফে সরকারকে এড়িয়ে ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্রাত্য বসু। শুধু অভিযোগই নয়, নতুন নিয়োগ পাওয়া উপাচার্যদের কাছে রীতিমত পদ না গ্রহণ করার মানবিক আবেদন জানিয়েছেন।