নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে পেশ করা হয়েছে জীবনকৃষ্ণ সাহা, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য সহ ৯ জনকে। আদালতের নির্দেশে ভেঙে দেওয়া অফিস তাঁর নয় বলে দাবি করেছেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা।
হেফাজতের মেয়াদ শেষে বৃহস্পতিবার আলিপুর স্পেশাল সিবিআই আদালতে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে তোলা হয়েছে। আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে এমনই দাবি করেছেন বিধায়ক। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ ওঠার পর হাইকোর্টের নির্দেশে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের আফ্রিকা মোড়ের ৭টি দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তাঁর মধ্যে একটি ঘর নির্বাচনী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতেন তিনি। আদালতে প্রবেশের সময় জীবনকৃষ্ণকে তাঁর বিভিন্ন অফিস ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হলে উত্তরে তিনি বলেন বেআইনি হলে তা তো ভাঙবেই। পাশাপাশি তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি নিজে কোনও বেআইনি কাজ করতেন কিনা। যদিও সেই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়েছেন জীবনকৃষ্ণ। উল্টে তিনি বলেছেন ওই অফিস তাঁর নয়। রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ১৭ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয় বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। তার আগে প্রায় ৬৫ ঘণ্টা ধরে তাঁর দফতর সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়।