৩ দিন আগে বাবার মৃত্যুতে ছুটি না মেলায় মানসিক অবসাদ থেকেই গুলিচালাতে পারেন অভিযুক্ত জওয়ান। এমনটাই সন্দেহ করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে ওড়িশার বাসিন্দা অভিযুক্ত সিআইএসএফ-র হেড কনস্টেবল একে মিশ্র-র বাবা মারা যাওয়ায় ছুটির আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তা নাকচ হয়ে যায়। এরপর থেকেই অবসাদগ্রস্ত ছিলেন। এরপর শনিবার সন্ধে সাড়ে ৬টায় হঠাৎ করেই গুলি ছুড়তে শুরু করেন অভিযুক্ত জওয়ান। অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলি চালান তিনি। তাতেই মৃত্যু হয় ওড়িশার বাসিন্দা এএসআই রঞ্জিত সারেঙ্গির। জখম হন সিআইএসএফ-র কমান্ডান্ট সুবীর ঘোষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তিনি জানিয়েছেন অভিযুক্ত সিআইএসএফ-র হেড কনস্টেবলকে বুঝিয়ে নিরস্ত্র করে গ্রেফতার করা হয়েছে। আত্মসমর্পণের জন্য শর্ত দেন অভিযুক্ত জওয়ান। নিরস্ত্র অবস্থায় পুলিশকে ঢুকতে বলেন। গ্রেফতারের পরও নির্বিকার হামলাকারী জওয়ান। পুলিশের গাড়িতে যখন তাকে যাদুগর থেকে বার করে আনা হয় সংবাদমাধ্যমকে দেখে হাতও নাড়িয়েছেন অভিযুক্ত জওয়ান।