বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মাঝামাঝি এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোকা আঘাত হানলেও তার প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গে। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। মোকার প্রভাবে রবিবার সকাল থেকেই মেঘলা রয়েছে কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ।
পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর-সহ দক্ষিণ পশ্চিমের বহু জেলায় আকাশ মেঘলা রয়েছে। তবে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কোথাওই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী এলাকায় বিগত কয়েকদিন ধরেই প্রশাসনের তরফে মাইকিং করা হচ্ছে। একই ছবি দেখা গেছে রবিবার সকালেও। দিঘা-সহ একাধিক সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে পুলিশ এনডিআরএফ ও এসডিআরএফের তরফে মাইকিং চালানো হচ্ছে, পাশাপাশি সমুদ্রে পর্যটকদের নামাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বকখালি, সাগর, ফ্রেজারগঞ্জ-সহ সমুদ্রতটের সবকটি পর্যটনকেন্দ্রে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু করে বাজার এলাকা, নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে সচেতন করার কাজ চলছে। একইসঙ্গে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে ব্যারন করা হয়েছে মৎস্যজীবীদেরও। সোমবার থেকে রাজ্যে আবহাওয়া বদল। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই কটি জেলাতেই।