রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে থাকছেন না বলে জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তখন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্যপালকে ঠিকঠাক মাস্টারমশাই চয়ন করতে পরামর্শ দিয়েছেন।
কেন রাজভবনে যাবেন না টুইট করে তিনি নিজেই জানিয়েছেন শুভেন্দু। বলেছেন রাজ্যপালের ভালমানুষিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্য সরকার। নবান্নের দূত হিসেবে কাজ করছেন রাজ্যপালের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নন্দিনী চক্রবর্তী। তাঁর দাবি টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া নিয়ে যখন রাজ্য তোলপাড় তখন রাজ্যপালের হাতেখড়ির অনুষ্ঠান দেখিয়ে ওই ইস্যুতে চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ বলেছেন প্রথমেই ভুল মাস্টারের কাছে হাতেখড়ি হলে ভুলই শিখবেন। অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি বলেছেন রাজ্যসরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের সমঝোতা হয়েছে। এজন্য উপরাষ্ট্রপতি পদে জগদীপ ধনকড়কে জেতানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেমেছিলেন। অন্যদিকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের প্রশ্ন অন্য ভাষা শিখতে গেলে কি হাতেখড়ির প্রয়োজন হয় নাকি। যদিও বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেছেন আগে নিজেরা ঠিক করে হাতেখড়ি দিক, না হলে ৭০ থেকে সাতে নেমে যাবে।