রবিবার রাতে বাংলাদেশের সুন্দরবন অঞ্চলে আছড়ে পড়ে রেমাল। ল্যান্ডফলের সময় সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টা ১৩৫ কিলোমিটারেরও বেশি।
এরপর এটি কলকাতার পাস দিয়ে গিয়ে সোমবার সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশের সীমানা বরাবর এগিয়ে পাবনার পূর্ব দিক দিয়ে সিরাজগঞ্জে অতিক্রম করে। সোমবার সকালে ময়মনসিংহের পাস দিয়ে ভারতের অসমে গিয়ে দুর্বল হয়েছে। ঝড় বাংলাদেশের দিকে আছড়ে পড়লেও দাপট ছিল এপারেও। কার্যত আমফানের স্মৃতি ফিরিয়েছে রেমাল। ঝড়ের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। তাণ্ডব দেখিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে। কলকাতাতেও রেমালের তাণ্ডব ছিল যথেষ্ট। ভারী বৃষ্টির প্রভাবে একের পর এক এলাকা কার্যত জলের তলায় চলে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে প্রচুর গাছ,উড়ে গিয়েছে বাড়ির চাল, পড়ে গিয়েছে মাটির বাড়ি। লাইটপোস্ট পড়ে কার্যত অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। রাতেই প্রশাসনের তরফে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।