রাত যত গড়িয়েছে তাণ্ডব দেখিয়েছে রেমাল। রবিবার রাতে বাংলাদেশের সুন্দরবন অঞ্চলে আছড়ে পড়ে রেমাল। এরপর এটি কলকাতার পাস দিয়ে গিয়ে সোমবার সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশের সীমানা বরাবর এগিয়ে পাবনার পূর্ব দিক দিয়ে সিরাজগঞ্জে অতিক্রম করে।
রেমালের প্রভাবে সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভেঙেছে বাধ। পড়েছে একের পর এক গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি, ভেঙেছে কাঁচা বাড়ি। প্রবল হাওয়ার সঙ্গে মুষধারে বৃষ্টিতে কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে একের পর এক জেলা। চাষের জমিতে জল ঢুকে বিঘার পর বিঘার ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে সাগর, ঝড়খালি, পাথরপ্রতিমা, গোসাবা ব্লকের বসিরহাট, হাসনাবাদের উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজনকে রবিবার সকাল থেকেই ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আগেই। মাইকিং করে সতর্কবার্তাও দেওয়া হচ্ছিল। ফলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই আটকানো গিয়েছে। ত্রাণশিবিরেই রান্নাবান্নার ব্যবস্থা করা হয়। কোনওরকম ঝুঁকি এড়াতে দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর, বকখালি সব জায়গাতেই কার্যত পর্যটক শূন্য করে দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফে।