অবসরের এক বছর আগেই সুন্দরবনে চোরাশিকারিদের গুলিতে প্রাণ হারালেন বনকর্মী অমলেন্দু হালদার। হেতালবাড়ির জঙ্গলে চোরাশিকারিদের হাতে বনকর্মীর খুন হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর , শনিবার সন্ধেয় বাংলাদেশের দিক থেকে হেতালবাড়ি জঙ্গলে ঢোকে চোরাশিকারিদের একটি নৌকা। সেই সময় বোটে করে টহল দিচ্ছিলেন অমলেন্দু হালদার সহ আরও তিনজন কর্মী ও বোটের ২ কর্মী। এরপরই সুন্দরবনের বিদ্যা রেঞ্জে অফিসের অধীনে নেতাধোপানি ক্যাম্প এলাকার জঙ্গলে হরিণ শিকারীরা তাঁদের মুখোমুখি পড়ে। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলির লড়াই হয়। চোরাশিকারীদের ছোড়া গুলি লাগে অমলেন্দুর শরীরে। যদিও পরে তাঁকে কোপানো হয় বলেও মনে করা হচ্ছে। তাঁর মাথায় কুড়ুলের গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। রবিবার ভোরে হেতালবাড়ির জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় অমলেন্দুর দেহ। তাঁর দেহ উদ্ধার করে সুন্দরবন কোস্টাল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ।