এক বছরে হিংসাবিধ্বস্ত মণিপুরে ঘরছাড়া হয়েছেন ৬৭ হাজার বাসিন্দা।এমনটাই উঠে এসেছে ইন্টারনাল ডিসপ্লেসড মনিটরিং সেন্টারের রিপোর্টে।
আইডিএমসি-র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় হিংসার ৬৯ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তারমধ্যে শুধুমাত্র মণিপুরেই ঘরছাড়া হয়েছেন ৬৭ হাজার মানুষ। ফলে ২০১৮ সালের পর দেশে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৩ মে ২০১৩ সালে প্রথমে চুরাচাঁদপুর জেলায় বিক্ষোভ সিংসার রূপ নিয়েছিল। এরপর তা ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, বিষ্ণুপুর, টেংনুপাল এবং কাংপোকিপির মতো অন্যান্য জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে আনুমানিক ৬৭ হাজার বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পাশাপাশি তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি আন্দোলন মণিপুরের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল। তারপরে প্রতিবেশী রাজ্য মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং আসামে হয়েছে।অশান্তি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার মণিপুরে কারফিউ জারি করেছিল। ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেয় এবং নিরাপত্তা বাহিনী পাঠায়। মণিপুরের রাজ্যপালের নেতৃত্বে একটি শান্তি কমিটিও প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু মতবিরোধের কারণে উদ্যোগটি বাধাগ্রস্ত হয়েছিল।