এই বয়সে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায় কতজনের, স্বপ্নও মরে যায় অনেকের। সেই বয়সেই হোসেলু শুরু করলেন জাতীয় দলে যাত্রা।
বুনতে শুরু করলেন নতুন স্বপ্ন। প্রথম ম্যাচেই জানিয়ে দিলেন, শুরুটা অনেক দেরিতে হলেও তিনি থাকতেই এসেছেন। ২০০৮ সালে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন হোসেলু। সেই থেকে প্রায় ১৫ বছরে খেলে ফেলেছেন স্পেন-জার্মানি-ইংল্যান্ড মিলিয়ে এক ডজন ক্লাবে। রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবেও তার ঠাঁই হয়েছিল। কিন্তু কখনই ততটা সাড়া জাগাতে পারেননি, যতটা পারলে দেশের জার্সি গায়ে চাপানো যায়। দীর্ঘ ভ্রমণের পর অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণটি তার এলো । বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর স্পেনের নতুন শুরুর সঙ্গী হলেন হোসেলু। ইউরো বাছাইপর্বে নরওয়ের বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে নামানো হলো হোসেলুকে। ৩৩ বছর পূর্ণ হতে বাকি তখন স্রেফ ২ দিন। তার সুযোগ ছিল সীমিত। ৮১ মিনিটে বদলি হিসেবে নামেন হোসেলু। কিন্তু সামান্য সেই সুযোগেই রাখেন বড় ছাপ। মাঠে নামার তিন মিনিটের মধ্যে পেয়ে যান প্রথম গোলের স্বাদ। পরের মিনিটেই আরেকটি! তার স্বপ্নময় অভিষেকে স্পেন ম্যাচটি জিতে নেয় ৩-০ গোলে। ১৯৯৮ সালে সুইডেনের বিপক্ষে ফের্নান্দো মরিয়েন্তেসের দু’ গোলের পর এই প্রথম স্পেনের হয়ে অভিষেকে জোড়া গোল করতে পারলেন কেউ। স্পেনের বয়সভিত্তিক দলগুলিতে দারুণ সাফল্যের পর জাতীয় দলে কোচ হিসেবে দে লা ফুয়েন্তের অধ্যায় শুরু হলো দারুণ জয় দিয়ে। এই দল নিয়ে ভবিষ্যতে তাকিয়ে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন দে লা ফুয়েন্তে।