প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় অস্বাভাবিক হারে সেনা মোতায়েন রয়েছে। চিন নিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ,লাগাতার চিনা আগ্রাসনের খবর সামনে আসছে।এই আবহে এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ১৯৬২-র পর ১৯৮৮ সালে চিনে গিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। চিনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রেই ওই পদক্ষেপ করা হয়। দুই দেশের মধ্যে স্পষ্ট বোঝাপড়া হয়েছিল যে, আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সংক্রান্ত মতপার্থক্য মিটিয়ে নেওয়া হবে এবং সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখা হবে। সেই থেকে এই নীতিতে ভর করেই সম্পর্ক টিকেছিল চিনের সঙ্গে।কিন্তু ২০২০ সাল সেই নীতিতে পরিবর্তন আসে এবং চিনের সঙ্গে সম্পর্কে আমূল পরিবর্তন ঘটে বলে জানিয়েছেন এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, ২০২০ সালে চিন একাধিক চুক্তি লঙ্ঘন করে। সীমান্তে বিরাট বাহিনী এনে হাজির করে তারা। বিদেশমন্ত্রীর কথায়, গালওয়ানের পর ভারতের তরফে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় এই বিপুল সেনা মোতায়েন অস্বাভাবিক। কিন্তু দুই দেশের মধ্যেকার সংঘাতের এই কথা মাথায় রেখেই, ভারতীয় হিসেবে কারও দেশের নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করা চলে না। বর্তমানে এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।