Wednesday, May 31, 2023
Scienceকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কি ঠেকানো সম্ভব?

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কি ঠেকানো সম্ভব?

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কার। মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাশক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাকেই বলা হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

 

বর্তমানে এটি অ্যাকাডেমিক শিক্ষার ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে, যেখানে পড়ানো হয় কীভাবে কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার তৈরি করতে হয় যা বুদ্ধিমত্তা প্রদর্শন করবে।কম্পিউটারকে মিমিকস কগনেটিক এককে আনা হয়, যাতে করে কম্পিউটার মানুষের মতো ভাবতে পারে। যেমন, শিক্ষা গ্রহণ এবং সমস্যার সমাধান। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হল মেশিন দ্বারা প্রদর্শিত বুদ্ধি। কিন্তু এটি বর্তমানে এমন পর্যায়ে চলে গেছে যা নিয়ে নেতিবাচক আশঙ্কাও দেখা যাচ্ছে।এমনকি জিওফ্রে হিন্টন, যাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির গডফাদার বলা হয়,তিনিও ভয় পাচ্ছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে ভবিষ্যতে তৈরি হতে চলা পরিস্থিতি নিয়ে। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপকারিতা ও ঝুঁকি নিয়ে নির্দ্বিধায় কথা বলার জন্য গুগল থেকে পদত্যাগ করেছেন হিন্টন।তার মতে,কৃত্রিম মেধা বিশ্বকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা তা খুঁজে বের করা ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে পড়বে।শুধু তাই নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট। ওয়ারেন এর তুলনা টেনেছেন পরমাণু বোমার সঙ্গে।তিনি জানিয়েছেন, বন্ধু বিল গেটসের দৌলতে সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অ্যাপ্লিকেশন চ্যাটজিপিটির সঙ্গে পরিচয় হয়েছে তার। কিন্তু তিনি তার পর থেকেই উদ্বিগ্ন। তার মধ্যে একটি ভয় কাজ করছে।ওয়ারেন জানিয়েছেন, চ্যাটজিপিটি এত কিছু করতে পারে, তা জেনে যেমন তিনি অভিভূত, তেমনই তার মধ্যে একটি আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। বলেছেন, যখন কোনও একটা জিনিস সব করতে পারে,তখন ভয় হয়। এক্ষেত্রেও হয়েছে। কারণ জানেন এই আবিষ্কারকে পিছনে নিয়ে যেতে পারবেন না। মুছে ফেলতে পারবেন না।অন্যদিকে,আমাদের চারপাশটা দিন দিন ছদ্ম-মানুষে ভরে যাচ্ছে। আমরা অনেক সময় সেগুলো টেরও পাই না। কিন্তু বেশিরভাগ ছদ্ম-পরিচয়ের আড়ালে ব্যক্তি নয়, আছে এআই-চালিত বট। যদিও মানুষের দ্বারাই কেবল সম্ভব, এমন সব কাজে বর্তমানে তারা পুরোদস্তুর সক্ষম নয়। কিন্তু, কিছু ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা অসামান্য,ধীরে ধীরে যা নানান খাতে বিস্তার লাভ করছে।অনেক এআই গবেষক মনে করেন, অধুনা এই ছদ্ম-মানুষের চল, কেবল শুরু মাত্র।এমন সম্ভাবনা খুবই জোরালো যে, আজকের এআই একদিন পরিণত হবে আর্টিফিসিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স বা এজিআই- এ।এজিআই আদতে এআই- এরই উচ্চতর রূপ – যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষের মতোন করে ভাবতে পারবে।তাই এই গবেষকদের কেউ কেউ যুক্তি দিয়েছেন, যদি কম্পিউটার সিস্টেম চ্যাটজিপিটির মতোন করে কোড লিখতে সক্ষম হয় – তাহলে সে নিজেই নিজেকে আরো উন্নত করার সুযোগ পাবে। আর এভাবে নিজেকে উন্নত করতে করতে একসময় অর্জন করবে, যা মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

More News

ইউরোপ ছাড়ার হুমকি চ্যাটজিপিটি নির্মাতার

0
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থায় পরিকল্পিত নীতি মানতে ব্যর্থ হলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে সরে আসার বিষয়টি বিবেচনায়...

এআই নীতি : বৈঠকে বসবে জি৭ কর্তারা

0
চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থায় সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা বিবেচনায় নিয়ে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন...

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সামাজিক সুবিধা

0
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার সামাজিক সুবিধা নিশ্চিতে একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক...