ইতিহাস কখনো ফিরে আসে,পুনরাবৃত্তি ঘটায় ভিন্ন মঞ্চে ভিন্ন রূপে।চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই দেখুন না,অবিশ্বাস্য সব সমীকরণে পাকিস্তান উঠে গিয়েছে ফাইনালে।
ভারতকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড। রবিবারের ফাইনাল হবে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।১৯৯২ সালে অধিনায়ক ইমরান খানের হাত ধরে পাকিস্তানে এসেছিল বিশ্বকাপ ট্রফি।সেটা ছিল ৫০ ওভারের ফরম্যাট।কারণ তখন টি-টোয়েন্টি বলে কিছু ছিলই না।বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছিল এই মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।সেবার এই ইংল্যান্ডকে হারিয়েই বিশ্বকাপ ট্রফি জিতে নিয়েছিল ইমরান খানের দল। রবিবারও কি এমন কিছুই হবে?মিল খুঁজলে আরো পাওয়া যাবে।সেবার ইমরান-মিয়াদাঁদদের দুর্দান্ত পাকিস্তান দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল।এবারও তারা ভারত আর জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করে।সেবারও তাদের সেমি ফাইনালে যাওয়ার কথাই ছিল না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়।সেই ১ পয়েন্ট নিয়েই সেমি ফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান।এবারের বিশ্বকাপটাও কি আলাদা? সুপার টুয়েলভ থেকেই সবাই পাকিস্তানের বিদায় দেখে ফেলেছিল।কারণ সেমি ফাইনালের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকা।কিন্তু বৃষ্টি অনেক হিসাব বদলে দেয়। চোকার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেয় নেদারল্যান্ডস।এতেই পাকিস্তানের সামনে সুযোগ সৃষ্টি হয় সেমিতে ওঠার। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে তারা সুযোগটি দারুণভাবে কাজে লাগায়।খেয়াল করলে দেখা যাবে, এবারের আসরেও সেই ১ পয়েন্টের সৌজন্যেই পাকিস্তান সেমি ফাইনালে উঠেছে।দক্ষিণ আফ্রিকা আর জিম্বাবুয়ে ম্যাচ বিপুল বিক্রমে জিতেই যাচ্ছে প্রোটিয়ারা,কিন্তু শেষ মুহূর্তে বৃষ্টিতে সেটা পরিত্যক্ত হয়। ১ পয়েন্ট হারিয়ে বিপদে পড়ে টেম্বা বাভুমার দল।এ সুযোগটাই কাজে লাগায় পাকিস্তান। দুই আসরের মাঝে যখন এত মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে,শেষটাও কি ৯২-এর মতো করতে পারবেন বাবর আজমরা?