অল্প মাত্রার জ্বর সাধারণত কোনো ক্ষতি সাধন করে না, বরং উপকারী। সেই কারণে অল্প মাত্রার জ্বর সারাতে ওষুধ প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না।
শিশুর জ্বর সহনীয় মাত্রার মধ্যে আনা গেলে তা শিশুকে যেমন স্বস্তি দেয়, তেমনি মা-বাবাকেও কিছুটা দুশ্চিন্তামুক্ত রাখে। সাধারণতঃ জ্বরের কারণে শিশুর শরীরে জলীয় পদার্থের প্রয়োজন বেড়ে যায়।জ্বরের মাত্রা ৩৭.২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি থাকলে প্রতি ডিগ্রি জ্বর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ৭ মিলিগ্রাম/প্রতি কেজি হিসেবে জল শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। সেই কারণে জ্বরের শিশু রোগীকে বেশি পরিমাণে জল পান করানো ও তরল খাবার বারবার খাওয়ানো উচিত।শিশুর অতিরিক্ত জ্বর কমিয়ে আনতে ঈষদুষ্ণ জলেতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত সারা শরীর মুছে দিতে হবে। জ্বরের তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের হবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে এভাবে স্পঞ্জ করা হলে তাপমাত্রা কমে আসে। তবে স্পঞ্জ করানোর ৩০ মিনিট আগে শিশুকে প্যারাসিটামল দিলে তা বেশি কার্যকর হয়ে ওঠে।প্যারাসিটামল শিশুর জ্বর নিবারণে সর্বাপেক্ষা নিরাপদ ও কার্যকর ওষুধ। ১৫ মিলিগ্রাম/প্রতি কেজি হিসেবে চার থেকে ছ’ ঘণ্টা পর পর এই ওষুধ শিশুকে দেওয়া যায়। তবে দৈনিক পরিমাণ যেন ৬০ মিলিগ্রাম/প্রতি কেজির বেশি না হয়। প্যারাসিটামল খাওয়ানোর দু’ ঘণ্টা পর শিশুর জ্বর প্রায় ২-৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত নেমে আসে। তবে বেশি মাত্রার জ্বর, যেমন,১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি থাকলে প্যারাসিটামল কার্যকর হয়ে উঠতে পারে না।শিশুর জ্বর কমাতে এই ওষুধও প্রাথমিকভাবে ব্যবহার করা হয়। ডোজ ১০ মিলিগ্রাম/প্রতি কেজি ওজন হিসেবে। প্রতিবার এই ওষুধ প্রয়োগের পর প্রায় আট ঘণ্টা পর্যন্ত জ্বর কম থাকে। তুলনায় প্রতি ডোজ প্যারাসিটামল খাওয়ানোর পর শিশুর জ্বর না থাকার সময়কাল হলো চার ঘণ্টার মতো।শিশুর জ্বরের আসল কারণ খুঁজে বের করা উচিত। জ্বর সারানোর জন্য চিকিৎসকের ব্যবস্থাপনা মেনে চলতে হবে।