বিশ্বে প্রথমবারের মতো ক্রু মিশনে মহাকাশে গিয়েছেন ছ’জন মহিলা।এর আগে ১৯৬৩ সালে একক মিশনে মহাকাশে ৭০ ঘণ্টারও বেশি সময় কাটিয়েছিলেন রাশিয়ার নভোচারী ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভা।এবার পরিস্থিতি একটু ভিন্ন।এবার, জেফ বেজোসের মহাকাশ কোম্পানি ব্লু অরিজিন-এর তৈরি সাবঅরবিটাল রকেটে করে পপ তারকা কেটি পেরি, লেখক ও বেজোসের বাগদত্তা লরেন সানচেজ, সাংবাদিক ও টিভি উপস্থাপক গেইল কিং, নাগরিক অধিকার কর্মী আমান্ডা এনগুয়েন, নাসার প্রাক্তন রকেট বিজ্ঞানী আয়িশা বোয়ে এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা কেরিয়ান ফ্লিন মহাকাশে গিয়েছেন।
কোম্পানিটির নিউ শেপার্ড প্রোগ্রামের শেষ ফ্লাইট এটি, যার নাম,এনএস-৩১। এর লক্ষ্য হচ্ছে, দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব তৈরি করা, যা প্রজন্মকে মহাকাশে যেতে অনুপ্রাণিত করবে। প্রথমবারের মতো কেবল মহিলা ক্রু নিয়ে এ ফ্লাইটটি তৈরি করেছে কোম্পানিটি।আমেরিকার ওয়েস্ট টেক্সাসের লঞ্চ সাইট ওয়ান থেকে পুনরায়ব্য বহারযোগ্য এ স্বচালিত এ রকেটটি উৎক্ষেপণের মাধ্যমে শুরু হয়েছে ছ’জন মহিলার এই যাত্রা, যা কেবল ১১ মিনিট স্থায়ী হয়েছে।পৃথিবী থেকে সর্বোচ্চ একশ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছায় রকেটটি, যেখানে ক্যাপসুলটি,কারমান লাইন অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গে কার্যত মহাকাশে প্রবেশ করেছেন মহিলারা।উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিকভাবে মহাকাশের সীমানা হিসাবে স্বীকৃত কারমান লাইন।
তবে মহাকাশে ভ্রমনকারী এ পাঁচজন মহিলাকে নভোচারী হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করবে না আমেরিকার ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফএএ, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও মার্কিন সামরিক বাহিনী। কারণ,তাদের সবারই নভোচারী হিসেবে গণ্য হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতার অভাব রয়েছে।মহাকাশে থাকাকালীন ক্রুরা প্রায় চার মিনিটের মতো ওজনহীনতায় মহাকাশে ভেসে বেড়াবেন ও ক্যাপসুলের বড় জানালা থেকে পৃথিবীর দৃশ্য উপভোগ করবে। এরপর তিনটি প্যারাসুট ব্যবহার করে পৃথিবীতে ফিরে আসবে ক্রু ক্যাপসুলটি।