রোমাঞ্চে ভরপুর, উত্তেজনা ও নাটকীয়তায় ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে পিএসজি। এক গোলে পিছিয়ে থেকে ফিরতি লেগ শুরু করা প্যারিসের ক্লাবটি বার্সেলোনার মাঠেও শুরুতে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে।
তবে এর পরের গল্প শুধুই পিএসজির।প্রথমার্ধেই স্বাগতিকরা দশ জনের দলে পরিণত হলে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একে একে চার গোল করে ম্যাচ জিতে নিয়েছে লুই এনরিকের দল।ফিরতি লেগ ৪-১ গোলে জেতায় দুই লেগ মিলিয়ে পিএসজির জয় ৬-৪ ব্যবধানে। অলিম্পিক স্টেডিয়ামে পিছিয়ে থেকে প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে নেমে শুরুতেই আক্রমণাত্বক পিএসজি।বার্সার রক্ষণে একের পর এক আক্রমণে চাপ বাড়াতে থাকে। কিন্তু নিখুঁত ফিনিশিং করতে পারছিলেন না এমবাপ্পে-দেম্বেলেরা।বার্সেলোনা রক্ষণ সামলে প্রথমবার আক্রমণে গিয়েই অবশ্য বাজিমাত করে ১২ মিনিটে।ডান প্রান্ত দিয়ে লামিন ইয়ামাল বল নিয়ে বক্সে ঢুকে কাটব্যাক করলে সেই বল দারুণভাবে গোলে পাঠান রাফিনিয়া।পিছিয়ে পড়া পিএসজি হন্যে হয়ে গোলের খোঁজ করতে থাকে। ২৯ মিনিটে বার্সেলোনা শিবিরে অস্বস্তি নিয়ে আসে রোনালদ আরোহোর লাল কার্ড। পিএসজির ফরোয়ার্ড বারকোলো বল নিয়ে বক্সে ঢুকছিলেন,তাকে পেছন থেকে টেনে ফেলে দেন আরোহো।সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার আরোহো। তাতে দশ জনের দলে পরিণত হয় বার্সেলোনা।একটু পরেই লামিন ইয়ামালকে তুলে সেন্টার ব্যাক ইনিয়াগো মার্টিনেজকে নামান জাভি এর্নান্দেস।তাতে আক্রমণে শক্তি কমে কাতালানদের। ওদিকে আক্রমণে চাপ অব্যাহত রেখে ৪০ মিনিটে গোল আদায় করে নেয় পিএসজি।বারকোলোর ক্রস গোলমুখে এমবাপ্পে পা ছোয়াতে না পারলেও অন্য প্রান্তে উসমান দেম্বেলের গতির শট জড়িয়ে যায় গোলে। তাতে ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা জোরাল হয় পিএসজি।বিরতি থেকে ফিরে ফিরতি লেগে এগিয়ে গিয়ে ম্যাচে সমতাও ফেরায় পিএসজি।বক্সের বাইরে থেকে ভিতিনিয়ার দূরপাল্লার গতির শট টের স্টেগানকে পরাস্ত করে জড়িয়ে যায় জালে। একটু পরেই বার্সেলোনা শিবিরে আরো বড় ধাক্কা আসে কোচ জাভি এর্নান্দেস লাল কার্ড দেখে ডাগআউট ছাড়লে।রেফারির একটি সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে টাচলাইনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বোর্ডে লাথি মারেন জাভি। সঙ্গে সঙ্গে লাল কার্ড দেখান রেফারি। একটু পর ম্যাচেই পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা।পেনাল্টি থেকে গোল করে পিএসজিকে সেমির পথে এগিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। বক্সের ভেতর জোয়াও ক্যানসেলো দেম্বেলেকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় পিএসজি। স্পট কিকে কোনো ভুল করেননি এমবাপ্পে। পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া চেষ্টা চালায় বার্সেলোনা কিন্তু পায়নি কাঙ্ক্ষিত গোল। উলটো শেষ দিকে বার্সেলোনার জালে শেষ পেরেক ঠুকে দেন এমবাপ্পে। সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় পিএসজি।