পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী, আরজি কর-কাণ্ডের সময় কলকাতায় এসেছিলেন। প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলাতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের জন্য উদ্বেগ ঝরেছিল তাঁর কথায়। দ্য কাশ্মীর ফাইল্স ছবির পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের জন্য চিন্তা হয়।
পশ্চিমবঙ্গের মেয়েদের জন্য ভাবনা হয়। পয়লা বৈশাখের দিন ফের একই বার্তা দিয়েছেন তিনি। দেবী কালিকার কাছে তাঁর প্রার্থনা, বাংলা যেন কাশ্মীর না হয়ে যায়।পয়লা বৈশাখ বাঙালির আবেগ, ঐতিহ্য।পয়লা বৈশাখ ,বাংলা বছর শুরু, বিবেক জানেন।একই ভাবে বাঙালি শক্তির প্রতীক দেবী কালিকার পূজারি। পরিচালক তাই পয়লা বৈশাখের শুরুতেই বাঙালির এই আবেগকে ছুঁয়ে যান। তিনি বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যবাসীকে।সকলের সমৃদ্ধি কামনা করেছেন। তার পরেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন। যার জন্য তাঁকে দেবীর শরণ নিতে হয়েছে।তাঁর আগামী ছবি,দ্য দিল্লি ফাইল্স, দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার। খবর, ছবিতে দিল্লির অরাজকতার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের নৈরাজ্যও নাকি দেখাতে চলেছেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। ছবি তৈরির আগেই যা নাড়া দিয়েছে তাঁকে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল, বলিউডের একাংশ-সহ দেশের অধিকাংশ অধিবাসী বিবেকের ছবিকে পদ্মশিবিরের প্রচার-ছবি বলে আড়ালে কটাক্ষ করেন। দিল্লি ফাইল্স-এ পশ্চিমবঙ্গের নৈরাজ্য দেখানো হবে, এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাই ক্ষুণ্ণ হয়েছিল রাজ্যের শাসকদল। যদিও সেই ক্ষোভ পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীকে থামাতে পারেনি। খবর, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন সেই সময়ের পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লির রাজনীতি ছবিতে জায়গা পেতে চলেছে। একইসঙ্গে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী পশ্চিমবঙ্গের যুব সমাজকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই প্রজন্মের জ্ঞানচক্ষু যাতে খুলে যায় সেই কামনাও করেছেন। শেয়ার করে নিয়েছেন তাঁর আগামী ছবির কিছু নেপথ্য মুহূর্ত।উল্লেখ্য, দ্য দিল্লি ফাইল্স, দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার যৌথ ভাবে প্রযোজনা করবেন অভিষেক আগরওয়াল এবং পল্লবী জোশী।