সবাই জানেন আয়রন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ উপাদান।এটি হিমোগ্লোবিনের মূল উপাদান, যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে।
আসলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। যার ফলে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা ও শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার মতো নানা সমস্যা।সাধারণভাবে ডিম, মাছ, বাদাম, ছোলা, পালং শাক এবং ড্রাই ফ্রুটস,এসব খাবারকেই আয়রনের ভালো উৎস হিসেবে ধরা হয়। তবে আমাদের চারপাশে থাকা একটি খুব পরিচিত সবজি কুমড়ো আয়রনের চমৎকার উৎস হিসেবে কাজ করে এবং কিছু ক্ষেত্রে পালং শাকের থেকেও বেশি কার্যকর।বিশেষজ্ঞদের মতে, কুমড়োতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, ওমেগা- থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, জিংক, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এ ছাড়া কুমড়ায় উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরকে মুক্ত র্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি প্রোস্টেট ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে কুমড়ো। চোখের স্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এমনকি হৃদরোগ প্রতিরোধেও কুমড়ো ও এর বীজ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১০০ গ্রাম কুমড়োর বীজে প্রায় ৮.৮ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে, যেখানে একই পরিমাণ পালং শাকে ২.২ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে।ফলে রক্তাল্পতা বা আয়রন ঘাটতিজনিত সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের জন্য কুমড়ো ও এর বীজ হতে পারে একটি স্বাস্থ্যকর ও প্রাকৃতিক সমাধান।