বলা হয়,ব্রণ হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট বয়স নেই।কম বয়সেও হতে পারে, আবার বয়স বাড়লেও ব্রণ হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থেকে যায়।ব্রণ হয় মূলত জল কম খাওয়া,বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, শরীরচর্চার অভাব,হরমোনজনিত বিভিন্ন সমস্যা থেকে।এ ছাড়া যত্নের অভাবেও ত্বকে ব্রণ হতে পারে।
তবে এগুলি ব্রণ হওয়ার একমাত্র কারণ নয়।ঘুমোনোর সময় কয়েকটি ভুলেও বাড়তে পারে ব্রণর সমস্যা। ঠিক কোন কারণগুলির জন্য মুখ ভরে যাচ্ছে ব্রণয়?নিজেকে সুস্থ রাখতে শুধু শরীরের যত্ন নিলেই হবে না।পরিষ্কার রাখতে হবে রোজের ব্যবহৃত কিছু জিনিসও।তার মধ্যে অন্যতম হল বিছানার চাদর এবং বালিশের ঢাকনাও। চর্মরোগে চিকিৎসকরা বলেন, বালিশের ঢাকনা থেকেই হতে পারে ব্রণ। বালিশের ঢাকনা হল জীবাণুর আতুঁড়ঘর।মুখের ক্রিম, লালা, চোখের জল সবই বালিশের ঢাকনা শোষণ করে নেয়।জন্ম নেয় ব্যাক্টেরিয়া।ঘুমোনোর সময় বালিশের ঢাকনায় ত্বক ঘষা খায়। তা থেকেই হয় ব্রণ। তাই প্রতি সপ্তাহে বালিশের ঢাকনা বদলান।অথবা পার্টি থেকে ফিরতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ঘুমে ঢুলে আসছে চোখ।তাই সোজা বাইরে থেকে ফিরে ঘুমিয়ে পড়লেন।সকালে উঠে দেখলেন ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় ব্রণ বেরিয়ে গিয়েছে।মেক আপ না তুলে ঘুমিয়ে পড়লে এমনটাই হওয়ার কথা। আসলে রূপটানের প্রয়োজনীয় প্রসাধনীতে নানা রকম রাসায়নিক উপাদান থাকে। যেগুলি ত্বকের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে।ব্রণ-মুক্ত ত্বক চাইলে যতই ক্লান্ত থাকুন,মেক আপ না তুলে ভুলেও ঘুমোতে যাবেন না।মেক আপ তুলে মুখ ধুয়ে ত্বকে ময়শ্চারাইজার মাখলে তবেই শেষ হবে ত্বকের যত্ন।আবার,চুলের যত্নে তেলের ব্যবহার খুবই জরুরি। শ্যাম্পু করার আগের রাতে অনেকেই চুলে তেল মেখে ঘুমোন।চুলের যত্নে এটাই সেরা উপায়। তবে ত্বকের জন্য কিন্তু এই অভ্যাস ভাল নয়।চুলে তেল দিলে মাথার ত্বকে অতিরিক্ত পরিমাণ সিবাম উৎপাদন হয়। সিবাম কিন্তু ত্বকে ব্রণর অন্যতম কারণ। ব্রণর ঝুঁকি কমাতে রাতে নয়, শ্যাম্পু করার ২ ঘণ্টা আগে চুলে তেল মাখুন। অন্যদিকে,বাইরের ধুলোবালি, ধোঁয়া সব এসে জমা হয় ত্বকের কোষে। ভাল করে ত্বক পরিষ্কার না করলে এগুলি প্রতিটি কোষে জমতে থাকে। দীর্ঘ দিন ধরে কোষের মুখে ময়লা জমে থাকার কারণে তেল ত্বকের বাইরে আসতে পারে না।সেগুলিই জমেই দেখা দেয় ব্রণ। তাই ব্রণর হাত থেকে মুক্তি পেতে ত্বক ভাল করে ধোয়া জরুরি।মুখ ধোয়ার আগেও হাত ভাল করে হাত ধুয়ে নিন। হাতে নোংরা থাকলে, সেই হাত দিয়ে মুখ ধুলে ত্বকের সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।