বই সামনে নিয়ে বসার কিছুক্ষণের মধ্যেই যেন রাজ্যের ঘুম চোখে এসে জুড়ে বসে। ছোট হোক বা বড়, সবারই এ সমস্যা রয়েছে।
যদিও শিশুরা পড়ার সময় এ সমস্যায় বেশি পড়ে। আর এ কারণে প্রায়ই নাজেহাল হন অভিভাবকরা।বড়দের এ সমস্যায় অভিভাবকরা তেমন একটা নজর না দিলেও শিশুদের ক্ষেত্রে মনোযোগী হতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।কারণ শিশুরা এ সমস্যায় পড়লে নির্ধারিত সিলেবাসের পড়া সঠিক সময়ে শেষ করতে পারে না।তবে এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য কিছু টিপস আছে যা মেনে চললে দ্রুতই ঘুমের দেশে ঘুমকেই পাঠিয়ে দিতে পারবেন। আসলে পড়তে বসলেই চোখে ঘুম আসার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। আমরা যখন পড়তে শুরু করি তখন চোখের ওপর চাপ পড়ে বেশি।মস্তিষ্কও ডেটা প্রসেসের কাজ করতে থাকে। চোখের মাংসপেশিগুলো ঢিলে হয়ে আসে।তাই কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের মস্তিষ্ক বিদ্রোহ শুরু করে, যার ফলে চোখে নেমে আসে ঘুম।এখন ঘটনা হল,এ সমস্যাকে প্রশ্রয় দিলে ভালো ঘুম কিছুক্ষণের জন্য হয়তো হবে,তবে জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই পিছিয়ে যেতে হবে। তাই পড়ার সময় ঘুমকে তাড়াতে মেনে চলুন কয়েকটি বিষয়।পড়ার স্থান অবশ্যই আলোকিত রাখুন। বাইরের খোলা বাতাসের আবহাওয়া ভেতরে ঢুকতে পারে, এমন স্থান পড়ার জন্য নির্বাচন করুন।পাশাপাশি,বিছানায় কখনো পড়তে বসবেন না। চেয়ার-টেবিলে বই পড়ার অভ্যাস করুন।এতে চেয়ার-টেবিল দেখামাত্রই মস্তিষ্ক পড়ার জন্য তৈরি হতে থাকবে। সেইসঙ্গে পড়ার আগে হালকা খাবার খেতে হবে। এ সময় কখনোই ভারী খাবার খাওয়া যাবে না। ভারী খাবার খাওয়ার পর মস্তিষ্ক কিছুটা অলস বোধ করে। অন্যদিকে, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে সকালে ওঠার অভ্যাস থাকলে সহজে পড়ার সময় ঘুম এসে ভর করতে পারে না।তাই শিশুদের সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।এর বাইরে পড়ার সময় ৫০০ মিলি জল পান করুন।এতে মস্তিষ্ক আর্দ্র থাকে, যা পড়া বুঝতে ও মনে রাখতে কাজ করবে।পড়ার ৩০ মিনিটের মাঝে ৫ মিনিট বিরতি রাখুন।পাশাপাশি আওয়াজ করে পড়তে পারেন।মনে মনে পড়ার অভ্যাস থাকলে পড়ার পর তা লিখে ফেলার চেষ্টা করুন।পড়ার মাঝে তন্দ্রাভাব কাটাতে আধ কাপ চা খাওয়ারও অভ্যাস করা যেতে পারে।অনেকেই আরামদায়ক জায়গায় পড়তে বসেন।শরীর আরাম পেলে একটু ছেড়ে দেয়।
আয়েশ করতে চায়। তাই এমন জায়গায় বসা যাবে না।অনেকেই পড়তে বসেন সব কাজ শেষে, একদম রাতের খাবারের পর।সারা দিনের ক্লান্তি তখন এমনিতেই ঘুমের দেশে টেনে নিতে চাইবে।