বেশির ভাগ সাফল্যের গল্পগুলো বোধ হয় এমনই হয়, অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে, ঝড়-ঝঞ্ঝা ঠেকিয়ে যে উঠে আসতে পারে, সেই বিজয়ী। মরক্কোর তারকা ফুটবলার আশরাফ হাকিমির গল্পটাও তেমনই।
মরক্কো দলটি নিয়ে বিশ্বকাপের আগে যতবার আলোচনা হয়েছে, ততবার এসেছে আশরাফ হাকিমির নাম। তিনিই দলটির সবচেয়ে বড় তারকা।অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা ফুটবলারের শৈশব-কৈশোর ছিল ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ।মরক্কোকে প্রথমবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তোলার নায়ক হাকিমি স্পেনের বিপক্ষে টাইব্রেকারে স্নায়ু নিয়ন্ত্রণে রেখে পেনাল্টি শটে দলের জয় নিশ্চিত করেন। স্পেনে জন্মগ্রহণ করা এবং একসময় রিয়াল মাদ্রিদে খেলা ফুটবলারের পায়ের জাদুতেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ঘটল স্পেনের। হাকিমি এখন খেলছেন ইউরোপের অন্যতম বড় ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের হয়ে। যেখানে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন লিওনেল মেসি, নেইমারের মতো সুপারস্টারদের।চলতি বিশ্বকাপে ইন্টারনেটের সবচেয়ে আলোচিত ছবির একটি ছিল গ্যালারিতে আশরাফ হাকিমি ও তার মা সৈয়দা মৌহর ছবি।২৪ বছর বয়সী ফুটবলার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তাঁর মা ঘর পরিষ্কার করতেন। বাবা ছিলেন রাস্তায় ভাসমান বিক্রেতা।তাঁরা একটি সাধারণ পরিবার থেকে এসেছেন। যারা জীবিকার জন্য সংগ্রাম করেছিল।প্রতিদিন তাদের জন্য লড়াই করেন। তারা আশরাফ হাকিমির জন্য নিজেদের উৎসর্গ করেছেন। তারা আশরাফ হাকিমির ভাইদের তাঁর সফলতার জন্য অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত করেছিলেন। হাকিমির ঠাণ্ডা মাথার পেনাল্টিকে ফুটবলের ভাষায় বলা হয়,পানেনকা। আলতো ছোঁয়ায় গোলকিপারকে পরাস্ত করেছেন হাকিমি। স্পেনের গোলকিপার উনাই সিমন যতক্ষণে ঝাঁপ দিয়েছেন, ততক্ষণে বল জালে জড়াচ্ছে। প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে খেলা হাকিমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে ভালো রাইট ব্যাকদের একজন, যিনি উইংয়েও খেলেন। তার স্ত্রী তিউনিসিয়ান বংশোদ্ভূত স্বনামধন্য স্প্যানিশ অভিনেত্রী হিবা আবুক। চলতি বছর অক্টোবরে ভোগ অ্যারাবিয়া’র প্রচ্ছদে দেখা গেছে এই দম্পতিকে।