সারা দিন ল্যাপটপে কাজ,মাঝেমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ,আর বিনোদন,বাড়ি ফিরে স্মার্ট টেলিভিশন কিংবা মুঠোফোনে সিরিজ় কিংবা সিনেমা। রোজের এই রুটিনের মাঝে যদি চোখ থেকে সমানে জল পড়ে, মাথা ধরে কিংবা দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে, বা,ছোট লেখা পড়তে যদি অসুবিধে হয় তা হলে বুঝতে হবে চশমা লাগবে।
অন্যদিকে চোখে চালশে পড়তে আজকাল আর চল্লিশ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় না। তবে এ সম্পর্কে আগে থেকে সচেতন থাকলে দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখা যায়।বলা হয়, এমন কিছু শুকনো ফল এবং বাদাম রয়েছে যেগুলি নিয়মিত খেলে চোখের জ্যোতি বাড়ে। যেমন বয়স বা চোখের স্নায়ুজনিত সমস্যা রুখে দিতে পারে কাঠবাদাম। কাঠ বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই। যা চোখের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যে কোনও ধরনের বাদামেই ভিটামিন ই রয়েছে। তবে, কাঠবাদামে এই ভিটামিনের পরিমাণ বেশি।এদিকে,ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ আখরোট প্রদাহ নিরাময়ে সাহায্য করে। অতিরিক্ত অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে চোখের কোষের মেমব্রেন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নিয়মিত আখরোট খেলে সেই আশঙ্কাও কমে।মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের পর্দা থেকে বিচ্ছুরিত,ব্লু লাইট থেকে চোখের ক্ষতি রুখে দিতে পারে পেস্তাবাদাম।আসলে, লুটেইন এবং জ়িজ়্যানথিন নামক বিশেষ দু’টি উপাদান রয়েছে পেস্তাবাদামে। যা চোখের বয়সজনিত রোগ,ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সক্ষম।ওদিকে আবার দৃষ্টিশক্তি জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হল জ়িঙ্ক।রেটিনা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা, দৃষ্টিশক্তি কমে আসার মতো সমস্যা আগে থেকে রোধ করা যায় নিয়মিত কাজুবাদাম খেলে।আর,কিশমিশে রয়েছে পলিফেনোলিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। যা দুটো চোখের উপর ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালের প্রভাব পড়তে দেয় না। ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে কিশমিশ।