ঝাড়গ্রামে লোধাশুলি থেকে শালবনি যাওয়ার পথে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা ও মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ।
এই ঘটনায় খুনের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের মতো জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শুক্রবার গড় শালবনিতে অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ির কাচ ভাঙে। একাধিক গাড়িতে ইটবৃষ্টি হয়। পরপর গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি, তৃণমূল কর্মীদের মারধরেরও অভিযোগ ওঠে।এদিকে ঝাড়গ্রামের শালবনিতে কুড়মি বিক্ষোভ-এর নেপথ্যে বিজেপির চক্রান্তের দাবি করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোধাশুলির সভা থেকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জের সুরে বলেছেন আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আদিবাসী কুড়মি সমাজ স্পষ্ট করে না বললে, সরকার যা করার করবে। আন্দোলনের নামে জল্লাদের উল্লাস। আপনাদের পতাকা নিয়ে বিজেপির লোকেরা আক্রমণ করে, সেটাও আপনাদের সংবাদমাধ্যমের কাছে এসে বলা উচিত। আক্রমণের পিছনে রাজনৈতিক যোগের দাবি করে ঝাঁঝাল ভাষায় অভিষেকের আক্রমণ এই ঝাড়গ্রামে অশান্তি ফিরিয়ে আনতে চাইছে, মানুষ ক্ষমা করবে না। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক নেতা-কর্মী আছে সব জানা গেছে। আদিবাসী কুড়মিদের মুখে জয় শ্রীরাম কেন হবে। বিক্ষোভের নাটক কারা সংগঠিত করেছে, খুঁজে বের করা হবে। বাইক থেকে নামিয়ে মেরেছে, যারা এর পিছনে রয়েছে, একজনকেও রেয়াত করা হবে না। কুড়মিরা তো তফসিলি জনজাতির স্বীকৃতির জন্য লড়ছেন। তার পরেও তাঁরা কী করে জনজাতি মহিলার উপর হামলা চালালেন। এ সব হতাশা থেকে করা হচ্ছে।