বাংলাদেশের খুলনায় ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নতুন ভবনে নতুন আঙ্গিকে যাত্রা শুরু করেছে গণহত্যা জাদুঘর। তিনটি পর্বে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণহত্যা জাদুঘর ট্রাস্টকে ২৬ সাউথ সেন্ট্রাল রোডে ৩০ শতক জমি-সহ একটি পুরনো বাড়ি প্রদান করেছিলেন। ১৩ নভেম্বর ২০২৩ নতুন ভবনটি উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ভবনে মোট তিনটি গ্যালারি রয়েছে। সেখানে গণহত্যা, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন আহমদ, ভাষা আন্দোলন, শহীদ বুদ্ধিজীবী, একাত্তরের ঘাতক দালাল ও শরণার্থীদের নানা নিদর্শন ও অমূল্য দলিল প্রদর্শিত হচ্ছে। জাদুঘরে রয়েছে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক অসংখ্য আলোকচিত্র এবং ভাস্কর্য। নতুন এই ভবনে রয়েছে একটি অত্যাধুনিক আর্কাইভ এবং বিশাল লাইব্রেরি।জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি বাংলাদেশের একমাত্র গণহত্যা জাদুঘর। ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার নির্ভুল ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও অন্বেষণ এবং সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নতুন প্রজন্ম তথা সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে খুলনাতে যাত্রা শুরু করেছিল গণহত্যা জাদুঘর।