বিশ্বকাপের সফলতম দলগুলোর একটি জার্মানি বরাবরই কঠিন এক প্রতিদ্বন্দ্বী দল। সেই তারাই কিনা টানা দ্বিতীয়বারের মতো থামল গ্রুপ পর্বে।
জার্মানির ফুটবল ইতিহাসে এর চেয়ে কঠিন সময় খুব কমই এসেছে। এর থেকে উত্তরণের পথ বাতলে দিয়েছেন জার্মানির কোচ হান্স ফ্লিক। তার মতে, তাদের অতীত সাফল্যের পেছনে জমাট রক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এবং আবার তা ফিরিয়ে আনতে হবে। ২০০২ বিশ্বকাপে রানার্সআপ হওয়া জার্মানি পরের দুটি বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান অর্জন করে। বিশ্বকাপের আসরে নিজেদের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ২০১৪ আসরে তারা অর্জন করে চূড়ান্ত সাফল্য। চতুর্থবারের মতো হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপেও ফেভারিট ধরা হচ্ছিল তাদের। কিন্তু বিধিবাম। মেক্সিকো ও দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় নকআউট পর্বের আগেই।গত বছর হওয়া ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে জার্মানির বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় শেষ ষোলোয়। দলে অনেক পরিবর্তন আসে এরপর।কোচের দায়িত্ব নেন ফ্লিক।তার হাত ধরে শুরুটা ভালো হলেও বিশ্বকাপ যত ঘনিয়ে আসছিল, ততই যেন পথ হারাচ্ছিলেন মুলার-নয়াররা। উয়েফা নেশন্স লিগের এবারের আসরে গ্রুপ পর্বে ৬ ম্যাচের একটিতে জিতে কোনোমতে এ’ লিগে টিকে থাকে দলটি।এরপরও নামটা জার্মানি বলেই সবাই আশায় ছিলেন,বড় মঞ্চে নিজেদের মেলে ধরবে তারা।কিন্তু প্রথম ম্যাচে জাপানের কাছে ২-১ গোলে হেরে নিজেদের বড় সর্বনাশ করে ফেলে ফ্লিকের দল,যার চড়া মাশুল দিতে হয় শেষে গিয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে স্পেনের ১-১ সঙ্গে ড্র করে।শেষ ম্যাচে কোস্টা রিকাকে ৪-২ গোলে হারিয়েও কাজ হয়নি। পয়েন্ট সমান হলেও স্পেনের সঙ্গে গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থেকে বাদ পরে ফ্লিকের দল। কোস্টা রিকা ম্যাচের পর কীভাবে জার্মানির ফুটবলে সুদিন ফিরে আসতে পারে সে প্রসঙ্গে কোচ হান্স ফ্লিক বলেছেন, রক্ষণে তাদের এখনকার চেয়ে আরও দৃঢ় হতে হবে। স্পেনের উদাহারণ দিয়ে তরুণ ও প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের প্রতি যত্নশীল হওয়ার আহ্বান তার কণ্ঠে।