বর্তমানে বিশ্বে ভারত দ্রুততম অর্থনৈতিক বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে। জি -৭ বৈঠকে এমনটাই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তাঁর কথায়, একটা ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে গরিব দেশ এবং গরিব মানুষেরা পরিবেশের বেশি ক্ষতি করে থাকে। কিন্তু হাজার বছর ধরে ভারতের ইতিহাস সম্পূর্ণ অন্য কথা বলছে। অতীতের ভারত ছিল অত্যন্ত সম্পদশালী, তারপর কয়েক শতকের দাসত্ব, আবার এখন বিশ্বে ভারত দ্রুততম অর্থনৈতিক বৃদ্ধির তালিকায়। কিন্তু কোনও সময়েই ভারত পরিবেশ সংক্রান্ত নিজের প্রতিশ্রুতিকে লঘু করে দেখেনি। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিশ্বের ১৭ শতাংশ মানুষের বসবাস ভারতে। কিন্তু কার্বন নিঃসরণে ভারতের ভূমিকা মাত্র ৫ শতাংশ।শক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বের গরিব দেশগুলির পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি বন্ধ করার জন্য এই মুহূর্তে আমেরিকা এবং পশ্চিমের কিছু দেশের চাপ রয়েছে ভারতের উপর। এই ক্ষেত্রে বিদেশ মন্ত্রক বার বার বলছে, ভারতের শক্তি আমদানি নির্ভর করে দেশের জাতীয় চাহিদা এবং অর্থনৈতিক বাধ্যবাধকতার উপর।সেই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পশ্চিমের দেশগুলিকে বলেছেন, শক্তি শুধুমাত্র ধনীদেরই হাতের মুঠোয় থাকবে এটা হতে পারে না। আর এখন ভূকৌশলগত কারণে যখন জ্বালানির দাম আকাশ ছোঁয়া, তখন এই কথাটা মনে রাখা আরও জরুরি।জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ জি-৭ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানিয়েছেন। সম্মেলন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী শক্তি, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, সন্ত্রাস-বিরোধিতার মতো বিষয়গুলি নিয়ে মত বিনিময় করেছেন জি-৭ গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে।