প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ নষ্ট করল ইন্টার মিলান। এই সময়ে দ্বিতীয় সেরা দল হয়ে থাকা জুভেন্টাস বিরতির পর উপহার দিয়েছে নজরকাড়া ফুটবল।
দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে মাস্সিমিলিয়ানো আল্লেগ্রির দল।আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে সেরি আর ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে জুভেন্টাস।চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুই দলের অভিজ্ঞতা দু’রকম। ইন্টার জায়গা করে নিয়েছে শেষ ষোলোয়। ছ’ ম্যাচের পাঁচটিই হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে জুভেন্টাস।তবে ঘরোয়া লিগে জয়ের ধারা ধরে রাখল তুরিনের দলটি। এটি তাদের টানা চতুর্থ জয়। আর টানা চার জয়ের পর হারল ইন্টার। পঞ্চম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পেয়ে বাইরে মারেন লাউতারো মার্তিনেস। ২৬ মিনিটে কর্নারে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের মাথা ছুঁয়ে যাওয়া বলে এদিন জেকোর হেড লক্ষ্যে থাকেনি।বিরতির আগে সবচেয়ে বড় সুযোগটা হারান ইন্টারের ডেনজেল ডামফ্রিস। নিকোলো বারেল্লার পাস ছ’ গজ বক্সের সামনে ফাঁকায় পেয়ে অবিশ্বাস্যভাবে উড়িয়ে মারেন ডাচ ডিফেন্ডার।৪৭ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল ইন্টার। ২৫ গজ দূর থেকে হাকান কালহানোগলুর জোরাল শটে বল এক হাতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যাসনি।চার মিনিট পর লক্ষ্যে নিজেদের প্রথম শটেই সাফল্য পেয়ে যায় জুভেন্টাস।বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে ফিলিপ কসতিচ পাস দেন বক্সে আর প্রথম স্পর্শে ডান পায়ের শটে বল গোলে পাঠান আদ্রিওঁ রাবিও।৬২ মিনিটে কর্নারে দারুণ ভলিতে বল গোলে পাঠিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দানিলো।তবে ভিএআরে অনেকটা সময় নিয়ে হ্যান্ডবলের বাঁশি বাজান রেফারি। বল দানিলোর হাত ছুঁয়ে গিয়েছিল।৭২ মিনিটে কাছ থেকে কালহানোগলুর শট ঠেকান দানিলো। দুই মিনিট পর মার্তিনেসের শট ঠেকান স্ট্যাসনি।৭৬ মিনিটে আরেকটি গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল জুভেন্টাস। কসতিচের জোরাল নিচু শটে বল গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে পোস্টে লাগে।৮১ মিনিটে বদলি নামেন আনহেল দি মারিয়া।পেশির চোট কাটিয়ে প্রায় এক মাস পর মাঠে ফিরলেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার।