জন্ডিস হলে রক্তে বিলিরুবিনের উচ্চমাত্রার কারণে ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যায়।সাধারণত রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে তাকে জন্ডিস বলে।
অন্যদিকে জন্ডিস নিজে কোনো রোগ নয়, এটি রোগের উপসর্গ।তীব্র গরমের সময় জন্ডিসের উপসর্গ বাড়ে।জন্ডিসের সঙ্গে আর কী কী লক্ষণ থাকবে তা নির্ভর করে জন্ডিস হওয়ার কারণের ওপর।এদিকে হেপাটাইটিস রোগে জন্ডিসের পাশাপাশি দেখা দেয়, ক্ষুধামান্দ্য,অরুচি,বমি ভাব,জ্বর জ্বর অনুভূতি,মৃদু বা তীব্র পেট ব্যথা, এবং প্রচণ্ড দুর্বলতা।এই অবস্থায়,গরম আবহাওয়ায় তীব্র হয় জন্ডিসের লক্ষণ।কারণ তীব্র গরমে শরীর থেকে ঘাম বের হয়ে যায়।এতে খুব দ্রুত জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে। জলশূন্যতা লিভারের কাজ করার ক্ষমতা কমিয়ে শরীর থেকে বিলিরুবিন বের করতে বাধা দিতে পারে।এ ছাড়া ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা তৈরি করতে পারে।এর বাইরে গরম আবহাওয়ায়,শরীরের বিপাকপ্রক্রিয়ার গতি বাড়তে পারে।বিপাকীয় চাহিদা বেড়ে গেলে লিভারের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়,যা জন্ডিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রভাব ফেলতে পারে।অন্যদিকে বিলিরুবিন বিপাক করার ক্ষেত্রে লিভারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।এর কার্যকারিতায় কোনো ব্যাঘাত ঘটলে বিলিরুবিনের মাত্রা বাড়ে এবং জন্ডিসের লক্ষণগুলো খারাপ হতে পারে।পাশাপাশি,দীর্ঘ সময় ধরে রোদে থাকলে জন্ডিসের লক্ষণগুলো বাড়তে পারে।কারণ অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের বিলিরুবিন ভেঙে দিতে পারে, যার ফলে ত্বক হলুদ হয়ে যায়। জন্ডিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সূর্যের আলো এড়িয়ে চলা উচিত। ত্বকের সুরক্ষায় এ সময় সানস্ক্রিন ও ছাতা ব্যবহার করা ভালো।সেই সঙ্গে ক্লান্তি হলো জন্ডিসের একটি সাধারণ লক্ষণ। শরীর তার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং জলশূন্যতার প্রভাব মোকাবিলা করতে বাড়তি চাপ নেয়।অতিরিক্ত গরম জন্ডিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্লান্তি ও দুর্বলতা বাড়াতে পারে।এই অবস্থায় জন্ডিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাইড্রেটেড থাকা উচিত। এর পাশাপাশি কড়া রোদ থেকে দূরে থাকা উচিত।সেই সঙ্গে গরম আবহাওয়ায় জন্ডিসের উপসর্গগুলো আরো খারাপ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।