কুন্তল তাপসের কাছ টাকা পেয়ে কালীঘাটের কাকু গ্রিন সিগন্যাল দিলেই প্রাথমিকে চাকরির ব্যবস্থা করতেন মানিক ভট্টাচার্য। আদালতে বিস্ফোরক ইডির বয়ান।
আর সিভিক ভলাান্টিয়ার রাহুল বেরা সহ অন্যদের মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপে থাকা সমস্ত অ্যাডমিট কার্ড এবং তথ্য মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য-র যোগাযোগ ছিল। বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে পেশ করে এমনই দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। চাকরি পাইয়ে দিতে সক্রিয় ভূমিকা ছিল সুজয়কৃষ্ণর। প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ২০১৮ সালের টেটের অ্যাডমিট কার্ড পাঠাতেন সুজয়কৃষ্ণ। ইডির দাবি কাদের কাদের চাকরি দিতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে বলে দিতেন কালীঘাটের কাকু। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে মিলেছে মানিক যোগের হদিশ। শুধু মানিক ভট্টাচার্য নন, বহিষ্কৃত তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গেও যোগ ছিল কালীঘাটের কাকুর। ৭০ লাখ টাকা সুজয়কৃষ্ণকে দিয়েছিল কুন্তল ঘোষ। টালির চালের মুদির দোকান থেকে রকেট গতিতে উত্থান নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কালীঘাটের কাকু বা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার করে ইডি। বুধবার আদালতে তোলার আগে জোকা ইএসআইতে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে উপস্থিত বেশ কয়েকজন চোর চোর স্লোগান দিয়েছেন। জেরার আগে কনফিডেন্ট কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র গ্রেফতারের পর কার্যত মুখে কুলুপ এটেছেন। এদিকে ক্লাবের ভোটে জিততেও চাকরির টোপ দিয়েছিলেন। কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে এমনও অভিযোগ রয়েছে বেহালায়। বেহালার উত্তরসূরি ক্লাবের ভোট দিযে মিলেছিল জলসম্পদ দফতরের চাকরি। এমনটাই দাবি চাকরিপ্রাপকের। কোমরের ওপর উঠে গিয়েছে এজেন্সি, এরপরে কান ধরতে হবে। আর মাত্র কয়েক ধাপ রয়েছে। কান ধরলেই মাথা এমনিতে চলে আসবে। কালীঘাটের কাকুর গ্রেফতারিতে এমনই বক্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর।