স্বপ্নের মতো একটা সিজন কাটিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জিতে নিয়েছেন করিম বেনজেমা। ফরাসি তারকার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পুরস্কার।
বেনজেমার হাত ধরে দু’ যুগ পর ব্যালন ডি’অর ফিরল ফ্রান্সে। শেষ কোনো ফরাসি হিসেবে ১৯৯৮ সালে এই পুরস্কার জিতেছিলেন জিনেদিন জিদান।সেই জিদানের হাত থেকেই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন করিম বেনজেমা।পুরস্কার নেওয়ার পর ৩৪ বছর বয়সী করিম বেনজেমা প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এটা তাঁকে আসলেই গর্বিত করেছে,যে পরিশ্রম করেছেন, তার স্বীকৃতি এটি। কখনও হাল ছাড়েন নি। তাঁর জীবনে দুজন আদর্শ ,রোল মডেল আছেন, জিদান ও রোনাল্ডো।সবসময় তাঁর মনে স্বপ্নটা ছিল-সবকিছু সম্ভব।কঠিন সময় ছিল,যখন ফ্রান্স দলে ছিলেন না, কিন্তু তখনও কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং কখনও হাল ছাড়েন নি এবং ফুটবল খেলাটা উপভোগ করেছেন।উল্লেখ্য,রিয়ালের আক্রমণভাগে দ্যুতি ছড়িয়ে লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি জয়ের পর অনেকেরই বিশ্বাস ছিল পুরস্কারটি বেনজিমার হাতেই উঠছে। গত সিজনে রিয়ালের জার্সিতে ৪৬ ম্যাচে ৪৪ বার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছেন বেনজিমা। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগে দুটি হ্যাটট্রিকসহ করেছেন ১৫ গোল।এত দিন ব্যালন ডি’অর দেওয়া হতো জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ মাসে দুর্দান্ত পারফরম করা ফুটবলারদের।তবে নিয়মে বদল এনেছে ফ্রান্স ম্যাগাজিন। আর বছরভিত্তিক নয়,এবার থেকে পুরস্কারটা দেওয়া হচ্ছে ফুটবল সিজনের হিসাবে।সে ক্ষেত্রে আগস্ট থেকে এ বছরের জুলাইয়ের পারফরম্যান্স হিসাবেই তৈরি করা হয়েছিল সংক্ষিপ্ত ৩০ জনের নাম।২০০৫ সালের পর এই প্রথম এই তালিকায় জায়গা হয়নি সর্বোচ্চ সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী লিওনেল মেসির।স্ট্যানলি ম্যাথিউসের ৬৬ বছর পর বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ব্যালন ডি’অর জিতলেন বেনজেমা।বয়সকে অবশ্য তিনি পাত্তাই দেন না।বলেছেন,বয়স তাঁর কাছে স্রেফ একটা সংখ্যা।অনেকে এখন পড়ন্ত বয়সে খেলে এবং তাঁর মধ্যে এখনও খুনে মনোভাব আছে। এই ইচ্ছাশক্তিই তাঁকে এগিয়ে নিয়েছে এবং কখনও হাল ছাড়তে দেয়নি। এটা স্বপ্নটাকে বাঁচিয়ে রাখে, এটাই তাঁর শক্তি।করিম বেনজেমা কেবল এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চান।