পারফিউম বা বডি স্প্রে দৈনন্দিন জীবনের অনুষঙ্গ। বিশেষ করে এই তীব্র গরমে পারফিউম ছাড়া বাইরে বের হওয়ার কথা ভাবাই যায় না।
তবে পারফিউম ব্যবহারের কিছুক্ষণ পরই সুগন্ধ আর থাকে না।এদিকে,এখন এই গরম আবহাওয়ায় যদি পারফিউমের গন্ধ বেশিক্ষণ না স্থায়ী হয় তাহলে তো মুশকিল।অন্যদিকে,সুগন্ধী বা পারফিউম স্থায়ী ব্যবহার করার রয়েছে নানা নিয়ম। সঠিক নিয়মে পারফিউম ব্যবহার করলে এর সুগন্ধ থাকবে অনেকক্ষণ।পাশাপাশি সুগন্ধি ব্যবহার করার নির্দিষ্ট কিছু জায়গা আছে যেগুলোকে বলা হয় পালস পয়েন্ট,সেসব জায়গায় সুগন্ধি ব্যবহার করলে অনেকক্ষণ ধরে প্রিয় সুঘ্রাণ ঘিরে রাখবে।যেমন স্নানের ঠিক পর পরই পারফিউম বা বডি মিস্ট ব্যবহার করবেন। এতে করে সুঘ্রাণ দীর্ঘ সময় থাকে।প্রথমে হাতে অল্প পরিমাণ ভেসলিন নিন। বগলে, গলায় এবং হাতের কব্জিতে কিছুটা ভেসলিন মেখে নিন। তারপর সে জায়গায় পারফিউম বা বডি স্প্রে লাগান। এতে আর্দ্র ত্বকে সুগন্ধ আটকে থাকে দীর্ঘক্ষণ।তারপর হাতের কব্জিতে, ঘাড়ে, চিবুকের নিচে গলার দুপাশে এবং বুকের দুপাশে পারফিউম ব্যবহার করুন। এতে গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সঙ্গে তীব্রও হবে। তবে সরাসরি ত্বকে ব্যবহার না করে তুলোর মধ্য়ে পারফিউম স্প্রে করুন। সেই ভেজা তুলোটি অন্তর্বাসের মধ্য়ে রাখুন। দেখবেন পারফিউম অনেকক্ষণ স্থায়ী হবে।অন্যদিকে কবজি ও কনুইয়ে পারফিউম ব্যবহারের ভালো জায়গা। কারণ দেহের এই জায়গাগুলোর উষ্ণতা অন্যান্য স্থানের চেয়ে বেশি।পারফিউম ব্যবহারের পর ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিলে সুগন্ধ স্থায়ী হয়।ত্বকের যে অংশে পারফিউম বা সুগন্ধী লাগিয়েছেন তার ওপর নন-সেন্টেড ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।এছাড়া,শরীরের পালস পয়েন্টগুলো হচ্ছে পারফিউম দেওয়ার জন্য আদর্শ জায়গা। কব্জি, কনুই ছাড়াও হাঁটুর পেছনে,পায়ের গোড়ালি, নাভির কাছে,কানের পেছনে পারফিউম লাগালে সেই ঘ্রাণ স্থায়ী হয় বেশ কিছুটা সময়। বিশেষতঃ দিনেরবেলায় তুলনামূলক ভারী সুগন্ধি ব্যবহার করুন। কারণ দিনের বেলায় অনেকটা সময় ধরে সুগন্ধির প্রয়োজন। রাতের বেলায় হালকা সুগন্ধি লাগান।কাপড়ের ওপরে সুগন্ধ না ব্যবহার করে বরং শরীরের পালস পয়েন্টগুলোতে পারফিউম ব্যবহার করুন।অন্যদিকে,কাপড়ের ওপরে পারফিউম ব্যবহারে অনেক সময় দাগ বসে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। আর,পারফিউম দেওয়ার সময় বোতল শরীর থেকে ৫-৭ ইঞ্চি দূরত্ব বজায় রাখুন। শেষে পারফিউমের বোতল ফ্রিজে রাখুন।আসলে ঠান্ডা পারফিউম শরীরের ছড়িয়ে নিলে বেশিক্ষণ থাকে।