অবৈধ সম্পর্কের জেরে গৃহবধূকে খুনের পর অভিযুক্ত ব্যক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী। সোমবার সকালে চাষের জমিতে কাজ করতে গিয়ে এক কৃষক দেখতে পান মাঠের মাঝে একটি নিমগাছের ডালে বিশু দাস গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে।
এরপরই তড়িঘড়ি স্থানীয়রা খবর দেয় বিশু দাস-এর পরিবারে এবং হরিণঘাটা থানায়। ঘটনাস্থলে আসে রেল পুলিশ এবং বিশুর পরিবারের সদস্যরা। গাছ থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকে বিশু দাসের মৃতদেহ প্রথমে নগরউখড়া মহাদেবপুর ফাঁড়িতে এবং সেখান থেকে তার মৃতদেহ পাঠানো হয় হরিণঘাটা বড় জাগুলি গ্রামীণ হাসপাতালে সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপর বিষ্ণুর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয় কল্যাণী জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের পুলিশমর্গে। প্রসঙ্গত, রবিবার অবৈধ সম্পর্কের জেরে কুপিয়ে খুন হন বছর ছাব্বিশের হরিণঘাটার এক গৃহবধূ অসীমা সিং। তিনি হরিণঘাটার নগরউখড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চাঁদা সরদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা। ভান্ডারখোলা থেকে সোনাকুর যাওয়ার রাস্তায় মাঠের পাশে ওই গৃহবধূর রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর দেয় হরিণঘাটা থানায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হরিণঘাটা বিশাল পুলিশবাহিনী। মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্যে। অভিযোগ ওঠে ঝিকরা বাজার সংলগ্ন এলাকার বিশু দাস নামে এক যুবকের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল অসীমার। অবৈধ সম্পর্কের চিড় ধরাতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওই যুবক অনুমান প্রশাসনের।