জিমে গিয়ে নিয়মিত শরীরচর্চা করার পরও মানসিক উদ্বেগ না কমলে যোগাসনে ভরসা রাখতে পারেন।অনেকেই জটিল যোগাসন করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না,তাই শুরু করতে পারেন বজ্রাসন দিয়েই।
আপাতসহজ বজ্রাসন বদহজম কমাতে, শারীরিক শক্তি ও মনঃসংযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। রোজ নিয়ম করে বজ্রাসন করলে মেলে আরও অনেক উপকার।এখন প্রশ্ন হলো,নিয়মিত বজ্রাসন করলে কী কী উপকার হবে? যেমন গরমের সময় বেশি খাওয়াদাওয়া করলেই শরীরে অস্বস্তি হলে বজ্রাসনে সমাধান হতে পারে।হজমশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে বজ্রাসন।এমনকি,কোষ্ঠকাঠিন্যের ধাতও কমায়।এই আসন নিয়মিত করতে থাকলে শরীর ঠিক ভাবে খাদ্য থেকে পুষ্টি সঞ্চয় করতে পারে। আবার কোমর ও শরীরের নিম্নাঙ্গে ব্যথাও কমাবে এই আসন।কারণ,বজ্রাসন করার ফলে শরীরের ঊরু, নিতম্ব, হাঁটু ও গোড়ালির পেশি অনেক বেশি নমনীয় হয়ে যায়।তাই যে কোনও ধরনের ব্যথা থেকে সহজেই আরাম মেলে।কেবল তা-ই নয় প্রসববেদনা, ঋতুকালীন পেটব্যথা ও গাঁটের ব্যথারও অনেকটাই কমবে বজ্রাসন করলে।অন্যদিকে,মানসিক উদ্বেগে বজ্রাসন করলে ভাল থাকবে মন। এই আসন মনঃসংযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি মানসিক অবসাদের সমস্যাকেও কমায়। মন শান্ত রাখে। ফলে ভাল ঘুম হয়। অনেকেই মেডিটেশন হিসাবে বজ্রাসন করে থাকেন।আবার,পেটের মেদ কমাতে বজ্রাসন করুন। বিশেষ করে যাঁদের স্থূলতার সমস্যা আছে, তাঁদের জন্যও বজ্রাসন উপকারী। এই আসন শরীরের হজমশক্তিকে বাড়ায়। ফলে দেহ থেকে অতিরিক্ত মেদ ঝরে যায়।