২০২০ সালের মার্চ থেকে শুরু হয়েছে করোনার অধ্যায়। এখন নিউ নর্মালের অনেকটা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে জনজীবন। কিন্তু একটা সময় দীর্ঘ লকডাউনের ধাক্কা সামলাতে হয়েছে। কঠিন সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে আবেগঘন হয়ে পড়লেন মিঠুন চক্রবর্তী।
নতুন রিয়ালিটি শো নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, লকডাউনের সময় বিপদে পড়েছিলেন টুরিজম ও হোটেলের ব্যবসায়ীরা।কোনও আয় ছিল না তাঁদের। বিশেষ সাহায্যও পাচ্ছিলেন না।একাধিক হোটেল রয়েছে মিঠুনের।এক কাপ কফিও সেখানে বিক্রি করতে পারেননি মিঠুন চক্রবর্তী। লকডাউনের সময় অত্যন্ত খারাপ ছিল বলে জানান মিঠুন। প্রথমে নিজের পরিবারের কথাই ভাবছিলেন তিনি।কিন্তু পরে যখন আয় এক্কেবারেই কমে যায়,কর্মীদের যা টাকা আছে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার নির্দেশ দেন।মিঠুনের পাশাপাশি এই শোয়ের বিচারক হিসেবে রয়েছেন করণ জোহর এবং পরিণীতি চোপড়া।সঞ্চালনার দায়িত্বে ভারতী সিং এবং তাঁর স্বামী হর্ষ লিম্বাচিয়া।শোয়ের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই নিজের অতীতের স্মৃতিকথা জানিয়েছেন মিঠুন। একটা সময় খাবারের জোগানের জন্য পার্টিতে নাচতেন। কাজের খোঁজে যেতেন পায়ে হেঁটে। যাতে কিছু টাকা বাঁচানো যায়। নায়ক হওয়ার আশা নাকি মাঝে ছেড়েই দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। ভেবেছিলেন তাঁকে কেউ নায়ক হিসেবে কাজের সুযোগ দেবেন না। তাই ভিলেন হওয়ারও চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন ৭১ বছরের অভিনেতা। স্বপ্নের পিছনে যাঁরা ছোটেন, তাঁদের কখনও হাল ছাড়া উচিত নয় বলেই জানিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী।