পৃথিবীর কক্ষপথের আশপাশ দিয়ে ছুটে যায় এবং যে কোনো সময় ভূপৃষ্ঠে আঘাত হানতে পারে এমন গ্রহাণু আর ধূমকেতুর খোঁজে নতুন স্পেস টেলিস্কোপ,নিও সার্ভেয়ার-এর নির্মাণ কাজ শুরু করেছে নাসা। সম্প্রতি নাসার বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ারদের কঠোর পর্যালোচনা প্রক্রিয়ায় পাশ করেছে নাসার ,নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট সার্ভেয়ার বা,নিও সার্ভেয়ার টেলিস্কোপ।
এর খরচ,সম্ভাব্য কারিগরি জটিলতা আর সময়সীমা নির্ধারণের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষষণা সংস্থাটি। আকারে ১৪০ মিটারের চেয়ে বড় এবং পৃথিবীর কক্ষপথের ৩ কোটি মাইলের মধ্যে আসতে পারে, নাসা পৃথিবীর চারপাশের মহাকাশে ভাসমান এমন বস্তুগুলোর অন্তত ৯০ শতাংশ চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০০৫ সালেই।তারই অংশ হিসেবে নাসার ,প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কোঅর্ডিনেশন অফিস বা,পিডিসিও’র কার্যক্রমকে সমর্থন দেবে নিও সার্ভেয়ার টেলিস্কোপ। আকারে ১৪০ মিটারের চেয়ে বড় যে কোনো মহাজাগতিক বস্তু, গ্রহাণু বা ধূমকেতু ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়লে তার ফলাফল হতে পারে ভয়াবহ বিপর্যয়।নাসা জানিয়েছে, পৃথিবী থেকে ১০ লাখ মাইল দূরে এলওয়ান লাগ্রাঞ্জ পয়েন্টে অবস্থান নেবে নিও সার্ভেয়ার। পৃথিবী আর সূর্যের মাঝামাঝি এ জায়গাটিতে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ,স্থিতিশীল।সেখান থেকে ইনফ্রারেড আলোতে পুরো সৌরজগতের দিকে নজর রাখতে পারবে নিও। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাধার ফলে ভূপৃষ্ঠে অবস্থিত টেলিস্কোপে ইনফ্রারেড তরঙ্গদৈর্ঘ্য ধরা পড়ে না। অন্যদিকে, মহাকাশের অনেক গ্রহাণু এবং ধূমকেতু দৃশ্যমান আলোতে আলোকিত হয় না। কিন্তু সূর্যের তাপে ওই অন্ধকার গ্রহাণুগুলো উত্তপ্ত হয় বলে তা চিহ্নিত করতে পারবে নিও সার্ভেয়ার। এ ছাড়াও, সূর্যের দিক থেকে কোনো গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসলে সেটাও চিহ্নিত করতে পারবে নিও।