ভারতে ফাইভ-জি প্রযুক্তির উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানে ফাইভ-জি যুগের সূচনা হয়েছে ভারতে।
প্রাথমিকভাবে দেশে ফাইভ জি পরিষেবা পাওয়া যাবে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই-সহ বেশ কিছু শহরে। দীপাবলির দিন থেকেই এই শহরগুলিতে ফাইভ-জি পরিষেবা চালু হবে। তবে টেলিকম বিভাগের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোন কোন শহরে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে সেটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ হয়নি। টেলিকম বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতের এক তৃতীয়াংশের বেশি মোবাইলে ২০৩০ সালের মধ্যে ফাইভ-জি পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, ফাইভ জি পরিষেবা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার রূপ বদলে দেবে। বিভিন্ন সেক্টরে নজিরবিহীন পরিবর্তন আনবে। ফাইভ জি স্পেকট্রামের সবচেয়ে বেশি বরাত পেয়েছে মুকেশ অম্বানীর সংস্থা রিল্যায়্যান্স জিয়ো। তারা ফাইভ-জি স্পেকট্রামের ৮৮ হাজার ৭৮ কোটি টাকার বরাত পেয়েছে। অনুষ্ঠানে মুকেশ অম্বানী বলেছেন, ফাইভ জি-র অর্থ পাঁচটি লক্ষ্য। এর মধ্যেই রয়েছে শিক্ষাক্ষেত্র, স্বাস্থ্য, কৃষি, ক্ষুদ্র শিল্প ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। উল্লেখ্য, ফাইভ জি-র মোট ১০টি ব্যান্ডের ৭২ হাজার ৯৮ মেগাহার্টজের স্পেকট্রাম নিলামে তোলা হয়েছিল। এর মধ্যে ৭১ শতাংশ বিক্রি হয়েছে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকায়।