কুন্তল তাপসের কাছ টাকা পেয়ে কালীঘাটের কাকু গ্রিন সিগন্যাল দিলেই প্রাথমিকে চাকরির ব্যবস্থা করতেন মানিক ভট্টাচার্য। আদালতে বিস্ফোরক ইডির বয়ানের ভিত্তিতে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।
আদালতে ইডির আইনজীবী আরও দাবি করেছেন সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরা সহ অন্যদের মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপে থাকা সমস্ত অ্যাডমিট কার্ড এবং তথ্য মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য-র যোগাযোগ ছিল। বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে পেশ করে এমনই দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। চাকরি পাইয়ে দিতে সক্রিয় ভূমিকা ছিল সুজয়কৃষ্ণর। ইডির দাবি কাদের কাদের চাকরি দিতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে বলে দিতেন কালীঘাটের কাকু। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে মিলেছে মানিক যোগের হদিশ। শুধু মানিক ভট্টাচার্য নন, বহিষ্কৃত তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গেও যোগ ছিল কালীঘাটের কাকুর। ৭০ লাখ টাকা সুজয়কৃষ্ণকে দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। ইডির দাবি কাকুর নির্দেশেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল। টালির চালের মুদির দোকান থেকে রকেট গতিতে উত্থান নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কালীঘাটের কাকু বা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার করে ইডি। বুধবার আদালতে তোলার আগে জোকা ইএসআইতে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে উপস্থিত বেশ কয়েকজন চোর চোর স্লোগান দিয়েছেন। কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ক্লাবের ভোটে জিততেও চাকরির টোপ দিয়েছিলেন। বেহালার উত্তরসূরি ক্লাবের ভোট দিয়ে মিলেছিল জলসম্পদ দফতরের চাকরি। এমনটাই দাবি চাকরিপ্রাপকের।