Home লাইফস্টাইল মেনোপজে হাড় ক্ষয়ের আশঙ্কা 

মেনোপজে হাড় ক্ষয়ের আশঙ্কা 

0
79

মেনস্টুরেশন বা ঋতুস্রাব স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়াকে মেনোপজ বলে।পর পর বারো মাস মাসিক বন্ধ থাকলে ধরে নেওয়া হয় মেনস্টুরেশন বন্ধ হয়ে গেছে,অর্থাৎ মেনোপজ হয়ে গেছে।

সাধারণত পঁয়তাল্লিশ থেকে পঞ্চান্ন বছরের মধ্যে মেনোপজ হয়।গড় বয়স বায়ান্ন বছর।নারীদেহের হরমোন ইস্ট্রোজেন কমে গেলে মেনস্টুরেশন বন্ধ হয়ে যায়। নারীদেহ সুস্থ রাখার কাজ করে ইস্ট্রোজেন হরমোন।মেনোপজে এটা কমে যায়।এই ইস্ট্রোজেন কমে যাওয়া মানে চামড়া তার পেলবতা হারাবে। চুল হারাবে জৌলুস। ভ্যাজাইনার টিস্যু, মূত্রথলি তার ইন্টিগ্রিটি হারাবে। শরীরের ভাঁজে ভাঁজে মেদ জমবে।শরীরে বাসা বাঁধবে অসুখ-বিসুখ। শরীর আক্রান্ত হয় বলে মনেও হতাশা দেখা দেয়। ইস্ট্রোজেন কমে ডিম্বাশয়ে ইস্ট্রোজেন প্রডিউসিং ফলিকল বা ডিম্বাণু কমে যাওয়ার জন্য। আর ফলিকল কমে এজিং প্রসেসের জন্য। এর উপসর্গ হলো,মধ্যবয়সে পর পর বারো মাস মেনস্টুরেশন না হওয়া,হটফ্লাশ বা শরীরে হঠাৎ হঠাৎ গরম লাগা,শরীরে জ্বালাপোড়া,কোনো কিছু ভালো না লাগা,মূত্রনালি, ভ্যাজাইনাতে জ্বালা,ইরিটিবিলিটি বা খিটখিটে মেজাজ,শারীরিক সম্পর্কে অনীহা বা নিজেকে সেক্সুয়ালি ইনকম্পিটেন্ট ভাবা,ত্বকে ভাঁজ পড়া,চুল ঝরে পড়া এবং সাদা হয়ে যাওয়া,হার্টের অসুখ,জরায়ু নিচে নেমে যাওয়া,হাড় ক্ষয়ে যাওয়া ইত্যাদি। সাধারণতঃ,মেনোপজে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ঘাটতি দেখা দেয়। ইস্ট্রোজেন রিসেপ্টর থাকে স্কিনে, হার্টে, হাড়ে, ইউরোজেনিটাল সিস্টেমের মিউকোসায়।ইস্ট্রোজেন হরমোন কমে যাওয়া মানে সব কিছু ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়া।তবে প্রতিটা সময়েরই আলাদা আলাদা সৌন্দর্য আছে।সেই সৌন্দর্য তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করে মেনে নেওয়া উচিত।মনে রাখতে হবে, সময়ের স্রোত কারো জন্য বসে থাকে না। তার চেয়ে বরং স্রোতের পালে লাগুক হাওয়া।