মায়ের দেহ সৎকার করতে গিয়ে নদীয়ার শান্তিপুরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। বছর চব্বিশের মৃত ওই যুবকের নাম বাপ্পা বিশ্বাস। ঘটনার পর থেকেই পলাতক আততায়ীরা।
শ্মশান ঘাটের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আততায়ীদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, শান্তিপুরের গবারচর এলাকার বাসিন্দা বছর ঊনষাটের প্রৌঢ়া উমা বিশ্বাসের বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয়। এরপর মরদেহ নিয়ে স্বামী শশধর বিশ্বাস-ছেলে বাপ্পা বিশ্বাস উমা বিশ্বাসের মরদেহ নিয়ে আত্মীয়দের সঙ্গে শ্মশান ঘাটে পেঁছন। এই সময়ে আর একটি মৃতদেহ অন্তিম সত্কারের জন্য শ্মশান ঘাটে পৌঁছয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সত্কারের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরে রীতিমাফিক চিতাভস্ম গঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়ে ছেলে বাপ্পা উঠে আসছিলেন। ওই একই সময়ে অপর মৃতের পরিবারও অস্থিভস্ম গঙ্গায ভাসিয়ে ওপরে উঠছিলেন। এই সময়ে বাপ্পা-র সঙ্গে অপর পক্ষের আত্মীয়দের অশান্তি বচসা বাঁধে। অভিযোগ, ওই অশান্তি পর্বের মধ্যেই এক যুবক ছুরি বের করে আচমকাই বাপ্পার ওপর চড়াও হয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে কোপাতে শুরু করে। ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে বাপ্পা। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।