ভবিষ্যতের কোনো এক সময়ে চাঁদ, মঙ্গল বা আরও দূরের মহাকাশ যাত্রায় নভোচারীদের সঙ্গী হবে ,সার্জিকাল রোবট। সে লক্ষ্য অর্জনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন ,আইএসএস-এ যাচ্ছে সার্জিকাল রোবট ,মিরা।
২০২৪ সালেই মিরা আইএসএসে যাচ্ছে বলে ঘোষণা করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ নেব্রাস্কা-লিংকনের রোবটিক্স বিজ্ঞানীরা। আইএসএসের মধ্যাকর্ষণহীন পরিবেশে মিনিয়েচারাইজড ইন ভিভো রোবোটিক অ্যাসিস্ট্যান্ট বা, মিরার কার্যক্ষমতা নিয়ে পরীক্ষা চালাবেন নভোচারী ও গবেষকরা।মিরাকে নিয়ে এক বিবৃতিতে বিজ্ঞানী শেন ফারিটর বলেছেন,মানুষ মহাকাশের যতো দূরে আর গহীনে যেতে থাকবে, কোনো এক সময়ে মহাকাশেই অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়বে তাদের।ইউনিভার্সিটি অফ নেব্রাস্কা-লিঙ্কনের ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের অধ্যাপক ফারিটর; পাশাপাশি মিরার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান,ভার্চুয়াল ইনসিশন-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতাও তিনি।২ পাউন্ড ওজনের রোবটটি দেখতে লম্বা সাদা রডের মতো, যার এক দিকে রয়েছে অনেকটা মানুষের হাতের মতো দুটি যন্ত্রাংশ। সার্জারি অথবা চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত দুটি টুল ধরার ক্ষমতা আছে হাতের অনুকরণে তৈরি অংশগুলোর।প্রায় দু’ দশকের গবেষণার ফসল এই রোবটটি। ২০০৬ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর পর ১০ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ পেয়েছে ভার্চুয়াল ইনসিশন।এ ছাড়াও, রোবটটিকে ২০২৪ সালে আইএসএসে পাঠানোর জন্য তৈরি করতে সম্প্রতি কোম্পানিকে এক লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে নাসা।ইতিমধ্যেই পৃথিবীতে নিজের কার্যক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে মিরা, জটিল অস্ত্রোপচারে রোবটটি ব্যবহার করেছেন চিকিৎসকরা।কাটা-ছেঁড়া নূন্যতম পর্যায়ে রেখে রোগীর শরীর থেকে মলাশয়ের একাংশ বের করে নেওয়ার কাজটি কোনো জটিলতা ছাড়াই শেষ করেছে মিরা।