প্রাচীনকালে মানুষ প্রকৃতি থেকেই খুঁজে পেতেন নানা সমাধান। প্রকৃতি থেকে উপাদান নিয়েই ওষুধ তৈরি করতেন।
এই ওষুধ এখনো চালু আছে।তাই শারীরিক কোন সমস্যায় এর ওপর ভরসা করতে পারেন।রান্না ঘরে থাকা কিছু উপাদান প্রাথমিকভাবে কাজে লাগাতে পারেন।সে ক্ষেত্রে,পেশীর ব্যাথা, বাতের ব্যথা, হজম বা ঠান্ডার সমস্যায় খেতে পারেন আদা।এক টুকরা আদার কুঁচি খাওয়ার সাথে সাথে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা বেড়ে যায়।আবার,হলুদে থাকা কারকিউমিন নামে এক ধরনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের জয়েন্টের ও পেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। শরীরের কোথাও কেটে ছিড়ে গেলে বা ব্যথা থাকলে হলুদ বেশ কার্যকর।অন্যদিকে,পেটের ব্যথা কমাতে বা হজমে টকদই বেশ উপকার করে।দইয়ে কয়েক ধরনের উপাদান থাকে যা পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার খেতে পারেন।এক গ্লাস জলেতে এক চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এবং মধু মিশিয়ে নিন।এই পানীয় শরীরে ব্যাথা কমিয়ে দেয়।আবার,এক গ্লাস হালকা গরম জলেতে লেবুর রস চিপে খেলে বদহজমে আরাম পাওয়া যায়।পাশাপাশি,ত্বক শুষ্ক হলে লেবুর খোসা দিয়ে একটু ঘষতে পারেন।ত্বক মোলায়েম হবে।ভাতের মাড়ও খুব ভালো। জলেতে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন।ভাতের মাড়ে তুলো ভিজিয়ে সমস্ত মুখে লাগাবেন।এটি টোনার হিসেবে কাজ করবে।বেসন মাখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে,বেসনের সাথে একটু হলুদ আর জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এরপর এটি ফেস ওয়াশের মতো ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জল হবে।লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা দূর করে ও মাড়ির ক্ষয় নিরাময় করে। লবঙ্গতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে প্রবেশ করে দাঁতের যন্ত্রণা কমায়।অন্যদিকে নিমপাতা চর্মরোগ সারাতে বেশ কার্যকরী। শরীরে ফুসকুড়ি বা চুলকানিতে বেশ কার্যকর।