মায়ানমারের জুন্টা সরকারকে এবার যুদ্ধাপরাধ নিয়ে সতর্ক করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। গত বছরের সেনা অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করায় সম্প্রতি মায়ানমারের প্রায় ১২ জন গণতন্ত্রকামী নেতা ও আন্দোলনকর্মীর মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে জুন্টার অধীনে মায়ানমারের আদালত।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন মায়ানমার আইনসভার প্রাক্তন এমপি তথা আউং সান সু চি-র দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতা হিয়ো জেয়া থয়ো এবং জনপ্রিয় গণতন্ত্রকামী নেতা কো জিমি। তাদের প্রাণদণ্ড হলে, তা যুদ্ধাপরাধের সমান হবে বলে মায়ানমার সেনাকে সতর্ক করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংক্রান্ত সংগঠনের প্রধান নিকোলাস কউমজিয়ান।অভিযুক্তদের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিরা। ধৃতদের বিচার প্রক্রিয়া চলেছে আদালতের বন্ধ ঘরে। কী হচ্ছে, তা জনসমক্ষে আনা হয়নি। নিকোলাস কউমজিয়ান বলেছেন, অভিযুক্তদের মানবাধিকার আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় ভয়ানক ভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। কাউকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হোক বা কয়েক ঘণ্টার জন্য আটকে রাখা হোক, যে বিচার প্রক্রিয়ায় অভিযুক্তদের অধিকার রক্ষা করা হয় না, তা যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সমান। যাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাদের বিচার প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ছিল না কি, পক্ষপাতদুষ্ট, তা কেউই জানি না। নিকোলাস কউমজিয়ানের কথায়, রাজনৈতিক বিরোধীদের মনে ভয় ঢোকাতেই মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ কার্যকর করতে চায় জুন্টা সরকার।