অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলাকারী শরিফুল ইসলাম শেহজাদ রয়েছেন কারাগারে। সম্প্রতি জামিনের আবেদন করলেও পুলিশের আপত্তিতে তাকে জামিন দেয়নি আদালত। তবে এবার নতুন রিপোর্টে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।
চার্জশিটে দেখা গিয়েছে যে, সাইফের ফ্ল্যাট থেকে যে আঙুলের ছাপগুলি সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেগুলি গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত শরিফুলের সঙ্গে মিলছে না।২০টি স্যাম্পল স্টেট সিআইডি ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যুরোতে পাঠানো হয়েছিল, যার মধ্যে ১৯ টি মেলেনি।জানা গিয়েছে, অভিনেতার আবাসন থেকে পাওয়া কিছু আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলছে না অভিযুক্তের আঙুলের ছাপ। পুলিশ সূত্রে খবর অভিনেতার বাথরুমের হাতল, আলমারির হাতল, দরজার হাতল-সহ একাধিক জায়গা থেকে আঙুলের যে ছাপ পাওয়া গিয়েছে তার সঙ্গে শরিফুলের আঙুলের ছাপের মিল নেই। এ ভাবে ২০টি আঙুলের ছাপের মধ্যে ১৯টি-ই নাকি মেলেনি। কেবল আটতলার ঘর থেকে পাওয়া আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলেছে অভিযুক্তের আঙুলের ছাপ।পুলিশের দাবি, বাকি জায়গার হাতলে অভিযুক্তের পাশাপাশি অন্যরাও হাত রেখেছিলেন।অভিযুক্তের আঙুলের ছাপের উপরেই পড়েছে সেই ছাপগুলো। ফলে, মুছে গিয়েছে শরিফুলের আঙুলের ছাপ।পুলিশের দাবি, এই ধরনের অমিল অনেক তদন্তেই ঘটে থাকে। সাধারণত, হাজার জনের মধ্যে একজনের ছাপ মিলে যায়।তবে আটতলার ঘর থেকে পাওয়া আঙুলের ছাপই প্রমাণ করে দিচ্ছে, শরিফুল অভিনেতার বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন।পুলিশের চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আসা শরিফুল তাঁর পরিবারের কাছে অবৈধ ভাবে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠাতেন।
অনেক দিন ধরে বেঙ্গালুরুর একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতীয় মুদ্রা দেশ থেকে বাইরে পাঠানো হচ্ছিল।এদিকে,কয়েকদিন আগে শরিফুলের আইনজীবী অভিযুক্তর জামিন চেয়ে আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের বিরোধিতা করে মুম্বাই পুলিশ।