মহামারী করোনার দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতের ওপর শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট, বিশ্বজুড়ে মন্দা,পাকিস্তানে প্রলয়ংকরী বন্যা ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের কারণে দক্ষিণ এশিয়া বেশ কিছু অভূতপূর্ব ধাক্কার মুখোমুখি হয়েছে।বিশ্বব্যাংক তাদের অর্ধ-বার্ষিক আপডেটে এ অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি হ্র্রাস পাচ্ছে উল্লেখ করে এখানকার দেশগুলোর স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার শেষ অর্থনৈতিক ফোকাস, ধকল মোকাবিলা : অভিবাসন ও স্থিতিস্থাপকতার উপায় শীর্ষক রিপোর্টে এই বছর গড় ৫.৮ শতাংশ আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে, যা জুনের পূর্বাভাস থেকে ১ শতাংশ কম। ২০২১ সালে এটি ছিল ৭.৮ শতাংশ। তখন বেশিরভাগ দেশ মহামারী-জনিত মন্দা কাটিয়ে উঠছিল।পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক মন্দা যখন দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশের ওপর চেপে বসেছে, তখন কিছু দেশ অন্যদের তুলনায় তা ভালভাবে মোকাবিলা করছে। এই অঞ্চলের বৃহত্তম অর্থনীতি ভারতের রপ্তানি ও পরিষেবা ক্ষেত্রে বিশ্ব গড় থেকেও শক্তিশালীভাবে পুনরুদ্ধার করেছে। এক্ষেত্রে ভারতের পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাহ্যিক ধকল সামলাতে বাফার হিসাবে কাজ করেছে।এ যাবৎকালে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত শ্রীলঙ্কার প্রকৃত জিডিপি এ বছর ৯.২ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে আরও ৪.২ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। উচ্চ দ্রব্যমূল্য পাকিস্তানের বৈদেশিক বাণিজ্যের ভারসাম্যহীনতাকে আরও খারাপ করেছে এবং এর বৈদেশিক রিজার্ভ কমিয়ে এনেছে।জলবায়ু-পরিবর্তন-জনিত ভয়াবহ বন্যায় এ বছর পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ প্লাবিত হওয়ার পর পাকিস্তানের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা ধেয়ে আসছে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ,আইএমএফ পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। ওয়াশিংটন ডিজির জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভায় এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন,২০২৩ সালের বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, বিশ্বজুড়ে পরিস্থিতির কারণে তা কমানো হয়েছে। এছাড়া আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উৎপাদন কমবে প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ।